ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় কম খরচে অধিক লাভ হয় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে স্থানীয় কৃষকদের। শুধু তাই নয় গম চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রনোদনা ও প্রকল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমী গমের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গমের আবাদ করা হয়েছে ৬ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হয়েছে।
মূলত শীত মৌসুমে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় সবজি, ধান ও সরিষা চাষ করলেও এরই মধ্যে স্থানীয় কৃষকরা গম চাষে খরচ কম ও ফলন বেশি হওয়ায় তারা লাভবান হচ্ছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে গম চাষ উৎপাদিত ফসল সঠিক মূল্য বিক্রি করতে, স্থানীয় পর্যায়ে কৃষক নতুন জাতের বীজ প্রদর্শনী, সুষম সারের সঠিক ব্যবহার সম্বন্ধে প্রশিক্ষণ প্রদান ও বালাই প্রদানের কোয়ালিটি সমৃদ্ধ বালাইনাশক এবং হাইব্রিড জাতের বীজ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে কৃষকরা। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে যাচ্ছেন। কৃষকদের মধ্যে গণসচেতনতার জন্য আইপিএম এর ফসল উৎপাদনের উদ্ধৃতকরণ চলছে। একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, ধান চাষের চেয়ে গম চাষে খরচ তুলনামূলকভাবে কম। ফলন সহ বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
দাগনভূঞাযর এক স্থানীয় কৃষক মোঃ ইসমাইল বলেন, এই বছর নতুন অনাবাদি জমিতে গম চাষ করছি। এই বছর কৃষি অফিস থেকে সরকারি প্রণোদনায় সার ও বীজ পেয়েছি। এই বছর ৩৫ শতাংশ জমিতে গম চাষ করতে পেরেছি। নিয়মিত জমির পরিচর্যার পাশাপাশি ছত্রাক সহ বিভিন্ন রোগ বলাই থেকে সুরক্ষার জন্য বালাই নাশক ব্যবহার করছি। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ফলন অন্য বছরে তুলনায় অধিক ভালো হবে বলে আশাবাদী আমি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল গম উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।