দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলুয়াড়ী ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর প্রতিবন্ধী শিশু কন্যাকে গত ২১ মার্চ পাশের বাড়ীর ওপেন চন্দ্র এর পুত্র পরিতষ চন্দ্র (৪২) জোরপুর্বক ধর্ষন করে। এ বিষয়ে শিশুটির পিতা বাদি হয়ে ঘটনার পরের দিন ২২ মার্চ ফুলবাড়ী থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আজ (১২ এপ্রিল) শনিবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুর র্যাব-১৩ ও থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামী পরিতষ চন্দ্র ( ৪২ )কে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাক প্রতিবন্ধী ওই শিশুর মা অন্যত্র থাকেন, তাই বাবার সাথে বসবাস করে সে। বাবা পার্শ্ববর্তী চিরিরবন্দর উপজেলার উচিৎপুর এলাকার একটি রাইস মিলের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। কাজের সুবাদে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় তাকে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যেতে হয়। বাবা কাজ শেষে ফিরে না আসা পর্যন্ত বাড়িতে একাই থাকে সে।
ঘটনার দিন গত ২১ মার্চ তার বাবা কাজে না গিয়ে বাড়ির কিছু টুকিটাকি কাজের জন্য জিনিসপত্র কিনতে সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় বাজারে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফিরে তার মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখেন প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার পরনের কাপড় চোপড় বিভর্স অবস্থায় রয়েছেন এবং প্রতিবেশী মৃত ওপিন চন্দ্রের ছেলে পরিতোষ চন্দ্র (৪২) জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করছে এবং তার মেয়ে ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পেতে কান্নাকাটি করছে।
এ সময় তাকে আটক করার চেষ্টা করলে পরিতোষ ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় বাক প্রতিবন্ধী ওই শিশু তার বাবাকে আকার ইঙ্গিতে জানায়, পরিতোষ চন্দ্র তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। ইতোপূর্বেও তার বাবা কাজে চলে গেলে পরিতোষ বাড়িতে এসে মেয়েকে উত্যক্ত করত বলে আকার ইঙ্গিতে তার বাবাকে জানালে, তার বাবা মানসন্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
এঘটনার পরেরদিন (২২মার্চ) ধর্ষিত বাক প্রতিবন্ধীর বাবা বাদি হয়ে ফুলবাড়ী থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫। সেই মামলায় পুলিশ ও দিনাজপুর র্যাব-১৩ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে পরিতোষ চন্দ্রকে পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ী এলাকা থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় গ্রেফতার করে।
ফুলবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম খন্দকার মহিবুল ইসলাম জানান, আসামী পরিতষ চন্দ্র পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ী এলাকা থেকে র্যাব-১৩ তাকে আটক করে। ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পূর্বেই মামলা দেওয়া আছে সেই মামলায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।