ফেনীর মহিপালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের মামলায় গত পাঁচ মাসে আটটি হত্যা মামলা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১১ টি মামলায় মোট ২৯০ জনকে গ্ৰেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৭০ জন এজহার ভুক্ত আসামি ও বাকি ২১৫ জনকে পুলিশ এর তদন্তের ভিত্তিতে ও সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ফেনী মডেল থানার সুত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া অন্যদিকে ঘটনার পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হয়নি ফেনীর মহিপালে ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকারীদের মধ্যে জড়িত অস্ত্রধারীরা। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, গত চার আগস্ট মহিপাল এলাকা থেকে ধারণ করা সিসিটিভি ফুটেজ এ অন্তত ৩৩ জন অস্ত্রধারীকে গুলি করতে দেখা গিয়েছে।
ফেনী মডেল থানা সূত্র মোতাবেক জানা গিয়েছে, অস্ত্রধারীদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ফেনী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ওরফে লিটন ও শর্শদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সম্রাট। এই দুজনেই দায় স্বীকার করে আদালতের ১৬৪ নম্বর ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, “”ভিডিও ফুটেজ দেখে অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে সম্রাট ও লিটন নামে দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”ফেনী মডেল থানা সুত্র জানায়, মহিপালের গুলিতে ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৯টি মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটটি হত্যা মামলা ও ১৯ টি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্র মোতাবেক জানা যায়, টমটম চালক জাফর হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিমুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর পিএস হিসেবে পরিচিত ফরিদ মানিক ও ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হক রিফাতকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এদের কেউ আদালতে কোন প্রকার স্বীকারোক্তি দেয়নি বলে জানা যায়।
ফেনী মডেল থানার এস আই মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ হত্যা মামলায় এ এজহার ভুক্ত ১০ জন ও সন্দেহজনক ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আন্দোলনে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ইকবাল হোসেন সহ আরো কয়েকজন কারো করা হয়েছে।