 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন মহা বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনায় এবং স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় জন আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না।
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ ও পক্ষপাতমূলক আচরন দেখতে চায় না। সরকার যদি তার নিরপেক্ষতা, বিশ্বাসযোগ্যতা , গ্রহণযোগ্যতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিতে না পরে তবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে।
তিনি আজ বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ণ বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। ইউনিয়ণ বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এই কর্মী সমাবেশ হাজার হাজার নেতাকর্মী ও জনসাধারণের উপস্থিতিতে বিশাল জনসমাবেশে পরিনত হয়। কর্মী সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন দেশের পরিস্থিতি মোটেও স্বস্তিদায়ক ও স্বাভাবিক নয়।
অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন , সংস্কারসহ গণ অভুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ণ এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, শান্তি , শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা রক্ষায় গণ অভুত্থানে সকল রাজনৈতিক শক্তি , ছাত্র , যুবকসহ দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের নিবীড় সম্পর্ক ও ঐক্য যখন বিশেষ প্রয়োজন তখন সরকারের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে অনৈক্য সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন কিছু দল ও মহল জানে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটে তারা জয়লাভ করতে পারবেনা , এজন্য তারা শুধু নির্বাচন বিলম্ব নয়, নির্বাচনকে অনিশ্চিৎ করতে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ড করার যড়যন্ত্র , চক্রান্ত করছে। রাকেইনে মানবিক করিডোর এর নেম জাতিয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করারও চেষ্টা কলছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের কতিপয় উপদেষ্টা , দেশি বিদেশি কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এসব ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের চরিত্র পাল্টে দীর্ঘমেয়াদী অনির্বাচিত সরকার কায়েমের গভীর চক্রান্তের কথা আকাশে বাতাসে শোনা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণ অভুত্থানে হাজার হাজার শহিদের রক্তে আংশিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। প্রয়োজনে আরও রক্ত দিয়ে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার কায়েম করে পরিপূর্ণ বিজয় নিশ্চিৎ করতে হবে।
এ বিষয়ে তিনি গণ অভুত্থানে অংশগ্রহনকারী গণতন্ত্র , জনগণের সার্বভৌমত্ব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল , ব্যক্তি, সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রতি সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধূলিস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন , ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য অভিজ্ঞাতসম্পন্ন সকল রাজনৈতিক দল , রাষ্ট্রীয় শক্তি সমুহ আহবান জানিয়ে আসছে। কিন্তু কতিপয় উপদেষ্টা, এনসিপি ও জমায়াত রহস্যজনক কারণে নির্বাচনকে প্রলিম্বিত করতে চায়। যারা জনগণকে ভয় পায় তারা নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে চায়।
তিনি বলেন ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা না করা হলে আন্দোলনের কোনও বিকল্প থাকবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন তারেক রহমান ডাক দিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ নির্বাচনের দাবিতে ঢাকায় জমায়েত হবে।
তিনি বলেন، কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের পাশা পাশি নির্বাচন ও নির্বাচনের দাবিতে প্রয়োজনে আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিতে হবে । তারেক রহমান ডাক দিলে কেউ ঘরে বসে থাকবেনা।
মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন , ফরহাদ রব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, সোলায়মান সরকার, গাজিউর রহমান, হুমায়ূন কবীর সরকার , আবদুল মোমেন সুমন, মাহবুবউল আলম বাবুল ,জাকিরুল ইসলাম টোটন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মওলানা আলী আকবর , উপজেলা বিএনপি নেতা ইব্রাহীম খলিল, ওয়াজেদ আলী মাস্টার, সিরাজুল ইসলাম।