যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে আবারও ইসরায়েলি সেনা ও স্থানীয় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলির মুখে পড়েছেন শত শত ফিলিস্তিনি।

সোমবার (৯ জুন) ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯৯ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এটিই প্রথম ঘটনা যেখানে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরাও ত্রাণপ্রত্যাশীদের উপর গুলি চালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ রাফাহর তাল আল-সুলতান এলাকায় জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে। একই সময়ে ইসরায়েলি সেনারাও তাদের উপর গুলি চালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন।

এই ঘটনার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রতিবেদনগুলো খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে। তবে জিএইচএফ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তাল আল-সুলতান কেন্দ্রটি সোমবার খোলা হয়নি এবং ত্রাণ বিতরণের জন্য খোলা অন্য দুটি স্থানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গাজার হামাসবিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করার কয়েকদিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। গত ২৬শে মে থেকে জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ শুরু করার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাদের খোলা চারটি ত্রাণ কেন্দ্রের কোনো একটির কাছে এমন প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটছে।

এর আগে ইসরায়েলি সামরিক অঞ্চলের ভেতর দিয়ে রাফাহর তাল আল-সুলতান এলাকার একটি কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন। সেই সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছিলেন যে, ইসরায়েলি বাহিনী মানুষের ভিড়ের ওপর গুলি চালিয়েছিল।

যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সহায়তা কেন্দ্রে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছিল যে, সৈন্যরা “সন্দেহভাজনদের” উপর গুলি চালিয়েছিল যারা সতর্কতামূলক গুলি উপেক্ষা করে তাদের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।