বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেছেন, মানুষ ২০১৪ সালে এমপির ভোট দিতে পারে নাই। আওয়ামী লীগ নিজেদের ভোট নিজেরা দিছে, কেউ কনটেস্ট করে নাই। ১৮ সালে আওয়ামী লীগ মুনাফেকি করছে। শেখ হাসিনা তার বাপের নামে শপথ কইরা বলছে, আমি আমার বাপের নামে শপথ কইরা বললাম- ফেয়ার ইলেকশন দিব, কিন্তু ইলেকশনের দিন দেখা গেল- দিনের ভোট আগের রাইতেই কইরা ফেলছে। নিশি রাইতের এমপি বানাইল। আর ২৪ সালে আমি আর ডামির নির্বাচন করল।
বুধবার বিকালে তার নিজ নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) হাওড় উপজেলা ইটনার বড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
প্রহসনের এসব নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি বলেছিলাম ৭ জানুয়ারি ২৪ সালে শেখ হাসিনা যেদিন ইলেকশন করে, আমাকে আইসা ওই রাত্রেই যমুনা টেলিভিশনের সঞ্চালক বলল- এখনতো শেখ হাসিনা পাঁচ বছর থাকবে। আপনারা তো তাকে ছাড়াতে পারবেন না। পাঁচ বছরের টিকিট পাইয়া গেলেন তিনি। পাঁচ বছরের কনফারমেশন পাইয়া গেল। আমি বলেছিলাম না, হাসিনা ছয় মাস থাকব। বলে, কী বলেন আপনি, কে সরাইব? আপনার দল তো সব ঘরে এবং জেলে। পলায়া গেছে এবং জেলে গেছে বিএনপি। কে সরাবে? আমি বলছি, আল্লাহ সরাইব, আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষে সরাইব- আশরাফুল মাখলুকাত। আমি সেদিন বলছিলাম, জাইন্যা রাখেন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন এবং কেড়ে নিতে পারেন। তা হইছে কিনা। যে দিন হাসিনা গেছে, ৫ আগস্ট- আমি ৪ আগস্ট কইছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শেখ হাসিনা চইলা যাইবো। তাই হইছে।’
ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের স্ত্রী সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, ইটনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম রতন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এএইচএম জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ, ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির উদ্দিন, সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন মীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাখন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।