দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
গত ২৫ জুন সকাল অনুমান ৮ টায় বোচাগঞ্জ থানার ০২নং ইশানিয়া ইউনিয়নের রনটি গ্রামের মিনাল চন্দ্র রায় এর ছেলে সাধক চন্দ্র রায় (২২) এর মৃ/ত/দেহ ০২ নং ইশানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উৎপল রায় বুলু এর বেদাহার নামক পুকুরের পানিতে পাওয়া যায়। এ সংক্রান্তে বোচাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
উক্ত হত্যা মামলায় দিনাজপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হুসাইন এর দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আনোয়ার হোসেন এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও বোচাগঞ্জ থানার পুলিশের একটি চৌকশ টিম হত্যা মামলা রুজু হওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
মনোদ্বীপ রায় (২০), পিতা-তপন কুমার রায়, সাং-রনটি, থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর এর দেখানো স্থান থেকে ভিকটিমের মোটরসাইকেল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ০৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখে মনোদ্বীপ রায় সাধক চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা সুদে নেয়।
চুক্তি ছিল ০৩/০৬/২০২৫ ইং তারিখের মধ্যে তা পরিশোধ করবেন এবং সঙ্গে অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা দিবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় সাধকের পরিবারের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরবর্তীতে সাধকের মা মনোদ্বীপ রায়ের মাকে বিষয়টি জানালে তিনি ছেলেকে বকাঝকা করেন।
এতে মনোদ্বীপ রায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩/০৬/২০২৫ ইং তারিখ সোমবার রাতে সাধক কে ডেকে নিয়ে যায় ০২ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উৎপল রায় বুলু এর বেদাহার নামক পুকুর পাড়ে। সেখানে মনোদ্বীপ রায় ও সাধন চন্দ্র রায়ের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মনোদ্বীপ রায় বাসের লাঠি দিয়ে সাধকের মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরবর্তীতে মৃতদেহ ও ভিকটিমের ব্যবহৃত ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল টি পুকুরে ফেলে দেয়।