1. info@dailyshadhinbarta.com.bd : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা Shadhin Barta
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক পেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের খবর ভুয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকায় আসছেন ড. জাকির নায়েক, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মন্তব্য কি কালিয়াকৈর-ধামরাই সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা: কান্দাপাড়ায় ঝরল এক প্রাণ সীমান্তে ফের বড় সাফল্য, ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণসহ চোরাচালান জব্দ করল ৪৯ বিজিবি অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান: তুরস্কের ঘোষণা যৌন কেলেঙ্কারির জের: ‘প্রিন্স’ মর্যাদা ও রাজপ্রাসাদে ঠাঁই হারাচ্ছেন অ্যান্ড্রু যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ২৪ হাজার টন ত্রাণ পৌঁছেছে: জাতিসংঘ প্রবাস নয়, দেশেই ‘কমলা’ চাষে ভাগ্য বদল শার্শার আবু হানিফের কাশি দিয়ে ধরা পড়লেন, খাদ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতি চক্রের ৩ সদস্য আটক

কেন্দুয়া উপজলায় অভিনব প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত, মানব পাচারের অভিযোগ পরিবারের

ইকবাল কবির, জেলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের গোগ গ্রামে এক বিধবা নারীর কাছ থেকে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী এক যুবক মানব পাচারের প্রলোভন দেখিয়ে এই জঘন্য কাজটি করেছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোগ গ্রামের রূপনেহার আক্তার (৪৪) নামের এক বিধবা নারী তার দুই মেয়ের (গার্মেন্টস কর্মী) উপার্জিত প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘরের ট্রাঙ্কে জমিয়ে রেখেছিলেন। এই টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল তার। এরই মধ্যে প্রতিবেশী যুবক রবিন (২০) রূপনেহারের ১৩ বছর বয়সী ছেলে আশরাফুলের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।

এরপর রবিন শিশুটিকে কানাডা পাঠানোর প্রলোভন দেখায়। তার কথায় আশরাফুল এক রাতে মায়ের খাবারে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। মা অচেতন হয়ে পড়লে আশরাফুল কোমর থেকে চাবি নিয়ে ট্রাঙ্ক খুলে সব টাকা রবিনের হাতে তুলে দেয়। টাকা পাওয়ার পর রবিন আশরাফুলকে তার নিজের পুরোনো মোবাইলটি ১৬ হাজার টাকায় দিয়ে বলে যে, কানাডা থেকে এই নম্বরেই যোগাযোগ করা হবে।

পরদিন সকালে রবিন আশরাফুলকে কেন্দুয়া বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় এবং একটি অচেনা নম্বর দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। ঢাকায় পৌঁছানোর পর শুরু হয় প্রতারণার মূল পর্ব। রবিন কর্তৃক দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি চক্র আশরাফুলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকে। এই চক্র শিশুটিকে দিয়ে চারদিনে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা কয়েকটি বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বাধ্য করে।

টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর রবিন আবারও ঢাকায় গিয়ে আশরাফুলের কাছ থেকে পুরোনো মোবাইলটি ফেরত নেয় এবং সব তথ্য মুছে ফেলে। পরে একটি নতুন মোবাইল কিনে দিয়ে তাকে একা রেখেই বাড়ি ফিরে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবার আশরাফুলকে উদ্ধার করলে পুরো ঘটনাটি সামনে আসে।

স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় রূপনেহার আক্তার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রবিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় দরবারি মুকুল মিয়া জানান, তাদের কথায় অসঙ্গতি থাকায় ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এই জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
LICENCE NO- TRAD/DSCC/210965/2019 and applied for registration.
Community Verified icon
 

Community Verified icon