 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    যৌতুক না পাওয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তরুণী স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। এ ঘটনায় মৃতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হলেও শ্বশুরসহ দু’জন পলাতক রয়েছে। গত ২১ আগস্ট এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পুলিশ জানায়, যৌতুকের ৩৫ লক্ষ টাকা দাবি মেটাতে না পারায় বছরের পর বছর ধরে অত্যাচারের জেরে ওই তরুণীর গায়ে দাহ্য তরল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের ছোট বোনের করা হত্যা মামলায় শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পরদিনই স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তার বোনের বিয়ের সময় কোনও যৌতুকে দেওয়া হয়নি।
পরে বছরের পর বছর ধরে নিকির ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। তার বাপের বাড়ি থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছিল স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সেই দাবি মানা না হলে হেনস্থা হিংসায় রূপ নেয়। এফআইআর-এর প্রতিলিপিতে বাদীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২১ অগাস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুলাভাই তাঁর মা-বাবা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আমার বোনের গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে অন্য একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।’
পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ২১ আগস্ট রাতে হাসপাতাল থেকে আমরা খবর পাই যে এক মহিলা গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন। পরে তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হলেও পথে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মৃতের স্বামী বিপিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তার পলাতক আত্মীয়দের সন্ধানের জন্য দল মোতায়েন করা হয়েছে। খুনের আগে স্ত্রী নিকিকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাসিন্দারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গত ২১ আগস্ট ভারতের কাসনা থানা সীমানার সিরসা গ্রামে ঘটে।