মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর এলাকায় এক বাগানের কেয়ারটেকারকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ১২ নম্বর গিয়াসনগর ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামে সৈয়দ নাসিম আহমদের বাগানের কেয়ারটেকার পাকু মিয়ার (৭০) ওপর এ নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতের ছেলে সাব্বির আহমদ সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাগানে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করছেন পাকু মিয়া। একই এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে সামছুল ইসলাম সোহান (২৫) নিয়মিত ওই বাগানের গাছ কেটে নেয়া, ফিসারির মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ছিলেন। এসব বিষয়ে কেয়ারটেকার পাকু মিয়া প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে একাধিকবার বাকবিতণ্ডা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পাকু মিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম বাজারে অবস্থিত মিতা স্যানেটারী দোকান থেকে বাগানের শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা মজুরি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কদুপুর ইসমাইল মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে, পূর্বশত্রুতার জেরে সামছুল ইসলাম সোহান কয়েকজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে তার ওপর দা দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, সামছুল ইসলাম সোহান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করলেও সে প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় নয়। চরিত্রগতভাবে সে ভালো নয় বলেও দাবি করেন তারা। পূর্বে মোকামবাজার এলাকায় তার একটি দোকান ছিল, তবে বর্তমানে সেটি নেই। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মালিকপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত তাকে এলাকা ছাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে আসামির মা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন, “শুনেছি আমার ছেলে পাকু মিয়াকে মেরেছে। তবে কেন মেরেছে তা বলতে পারছি না। মামলা হওয়ার পর থেকে সে বাড়িতে আসেনি।”
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”