বাংলাদেশের সার্বভৈামত্ব রক্ষায় দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও দেশের সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচার দেখতে চাইনা।
জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, সেটিকে নতুন চক্রান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক স্মরণসভা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাপা নিষিদ্ধের দাবির বিষয় জানতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার কথা বহু আগে স্পষ্ট করেছি। রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা? এ বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তো আরেকটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে। অনিশ্চয়তা অস্থিরতার জন্য এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। যেটা কোনো ইস্যু না, সেটাকে ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। এটা সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন হওয়া দরকার।’
বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সময় হলে জানাব।’
রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা যে দাবি জানিয়েছেন সে বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘সময় হলে জানাব, জানতে পারবেন।’
কূটনীতিক সাবিহউদ্দিন আহমেদের স্মরণে এই সভার আয়োজন করেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এতে আরও বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ।
স্মরণ সভায় প্রয়াত সাবিহ উদ্দিনের সহধর্মিণী রওনক আহমেদ, ছেলে সাইয়াব আহমেদ, বিএনপি মহাসচিবের সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগমসহ সাবিহ উদ্দিনের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।