 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন মিলে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস করে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
কিন্তু দীর্ঘদিনের জনবল সংকট, অপ্রতুল অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনগণের চাপ দিন দিন বাড়লেও, সেবার মান ও সুযোগ-সুবিধা সেই অনুপাতে উন্নত হয়নি।
জনবল সংকটে বিঘ্নিত স্বাস্থ্যসেবা
হাসপাতালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে আছে। যেমন: চিকিৎসক, জুনিয়র কনসালটেন্ট এবং নার্স পদে অপ্রতুল সংখ্যক কর্মী কর্মরত আছেন। এছাড়াও অফিস সহায়ক পদের সংখ্যা কম এবং জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস অপ্রতুল। এর ফলে রোগীদের বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত খরচ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে যেতে হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় পুরো হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একইভাবে, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদ খালি।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ১০০ শয্যার দাবি
ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তান আমলে, অর্থাৎ ১৯৬২ সালে, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেসময় কেন্দুয়া থানার হেড কোয়ার্টারের জন্য জায়গা সংকুলান না হওয়ায়, তৎকালীন ৭নং মাসকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুস ছাত্তার ভুঁইয়া কালা মিঞা সাহেব আদমপুর মৌজায় জায়গা দান করেন। সেই জমিতেই বর্তমান হাসপাতাল ও উপজেলা সদর গড়ে উঠেছে।
২০০৬ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও, বর্তমানে রোগীর চাপ এতটাই বেড়েছে যে, শয্যা সংকটে অনেক রোগীকে মেঝেতে বা বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। তাই স্থানীয় জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিরা এখন হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার জোর দাবি জানাচ্ছেন।