ইরান এর জবাবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’ নামে ইসরাইলে প্রায় ১০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। এতে বহু স্থাপনার পাশাপাশি ইসরাইলের বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসরাইল হামলা করে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে। ইরানে এখন পর্যন্ত এটিকে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়েই ইসরাইলের প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান অভিযানে যোগ দেয় এবং ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে হামলা চালায়। এদের মধ্যে ছিল পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক মিসাইল স্থাপনাগুলো, সামরিক ঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম। পরবর্তীতে শুক্রবার বিভিন্ন সময় নতুন করে আরও বেশ কিছু হামলা চালায় ইসরাইল।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েল “যুদ্ধ শুরু করেছে” এবং তার জবাবে ইরান “ভয়াবহ আঘাত হানবে”।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের লড়াই ইরানি জনগণের সঙ্গে নয় বরং তাদের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন: “সামনে আরও কিছু আসছে। এই শাসকগোষ্ঠী জানে না কী তাদের উপর নেমে এসেছে বা কী আসছে। তারা কখনও এতটা দুর্বল ছিল না।”
এই পাল্টা হামলায় ইরানে আনন্দের জোয়ার বইছে। দেশটির রাজধানী তেহরানে জাতীয় পতাকা হাতে শত শত নাগরিক আনন্দ মিছিলে বের হয়েছেন। বিবিসি এক খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।