1. info@dailyshadhinbarta.com.bd : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা Shadhin Barta
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লোহাগাড়ায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্য আটক রিজিয়া পারভীনের সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিল্পী সেলিম ইব্রাহিম ২য় বারেও ব্যর্থ! মনির খানের আসনে নতুন মুখ মেহেদী হাসান রনি ‘সবাইকে নিয়েই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চাই’ – দেশে ফিরেই জামায়াত আমীরের আলটিমেটাম নির্বাচনে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক পেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের খবর ভুয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকায় আসছেন ড. জাকির নায়েক, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মন্তব্য কি কালিয়াকৈর-ধামরাই সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা: কান্দাপাড়ায় ঝরল এক প্রাণ সীমান্তে ফের বড় সাফল্য, ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণসহ চোরাচালান জব্দ করল ৪৯ বিজিবি অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান: তুরস্কের ঘোষণা

গাজাসহ মুসলিম বিশ্বে আমেরিকা ইহুদি জোট দ্বারা চলমান গণহত্যা: সমাধান কোন পথে?

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫


ক্ষোভে ফেটে পড়তে হয় ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চালানো ধ্বংসযজ্ঞ দেখে। গাজা, ওয়েস্ট ব্যাংক, দক্ষিণ লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এমনকি এখন ইরানেও ইসরায়েল যে নিষ্ঠুরতা ও মানবজীবনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে, তার মায়া সত্যিই ভয়াবহ এই নৃশংসতাকে চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরভূশ ও অবিচল সহায়তা।

ইসরায়েল ৭ অক্টোবরের পর গাজায় যা করেছে, তা যুদ্ধ নয়। এটা একটি ফাঁদে আটকে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিকল্পিত ধংংস। ৫৫,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা ১,০০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এমন ও হয়েছে গোটা পরিবার মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ইসরায়েলি বোমায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।

” নিশ্চয়ই মুসলিমগণ পরস্পরের ভাই।” (আল কুরআন ৪৯০৪১০)… গাযার মুসলিম ভাই দের জন্য আপনি কি করেছেন?

গাজা, যা আগে থেকেই ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এক অবরুদ্ধ মৃত্যুপুরী, এখন এক বিশাল কবরখানায় পরিণত হয়েছে, যেখানে পালানোর আর কোনো উপায় নেই। স্কুলগুলো মর্গে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালগুলো বোমা হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গেছে। শরণার্থী শিবিরগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয় এটি পরিকল্পিত। ইসরায়েল তাদের উন্নত অস্ত্র ও নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষকে বেঁচে থাকার সব উপাদানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে: পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, বেকারি, অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক, জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র- কিছুই বাদ নেই।

ওয়েস্ট ব্যাংকে, ইহুদি দখলদারদের সহিংসতা ও ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। মানুষদের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হচ্ছে, ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হচ্ছে, এবং কোনো অভিযোগ ছাড়াই কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। সশস্ত ইহদি দখলদাররা যারা ইসরায়েলি সেনাদের সুরক্ষা ও সহচর্যে থাকে প্রতিদিন ফিলিস্তিনি জনপদে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।

দক্ষিণ লেবাননে, একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষকে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। সীমান্তঘেঁষা গোটা গ্রামগুলো ইসরায়েলি শেলিং ও ড্রোন হামলায় জনশূন্য হয়ে গেছে।

সিরিয়াতে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েল ডজন ডজন বিমান হামলা চালিয়েছে লক্ষ্যবস্তু করেছে বিমানবন্দর, আবাসিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনাকে। এসব হামলায় নিয়মিতভাবে অনেক মুসলমান মারা যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিধ্বস্ত এক দেশকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে। কী উদ্দেশ্যে? বার্তা পাঠাতে? শক্তি প্রদর্শনে?

আর ইরান… তাকেও টার্গেট করে হত্যাকাণ্ড ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা।

ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের ভেতরে যে বিমান হামলা চালিয়েছে, তা কোনো “আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ” ছিল না। এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ, পরিকল্পিত আগ্রাসন আরেকটি দেশের সার্বভৌমত্বের নগ্ন লঙ্ঘন। এই হামলা যুদ্ধক্ষেত্রে হয়নি, হয়নি কোনো সীমান্ত বিরোধিতায়। এটি ছিল সরাসরি ইরানের ভূখণ্ডে একটি অবৈধ, উসকানিমূলক সামরিক আক্রমণ, যেখানে শীর্ষস্থানীয় ইরানি জনারেল, বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন যারা কোনো সরাসরি সংঘর্ষে জড়িতও ছিলেন না।

একটি দেশের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বকে তাদের নিজের ভূখণ্ডে বোমা মেরে হত্যা করা, সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু তাই না, ইয়েমেনেও ইসরাইল সরাসরি হামলা চালিয়েছে এবং শুধু ৭ ই অক্টোবরের পর থেকে সেখানে অসংখ্য মানুষকে হত্য কনেছে।

তাহলে আমরা দেখতে পেলাম, শুধু সাত অক্টোবর ২০২৩ এর পর, ইসরাইল সরাসরি সর্বমোট হয়েটি মুসলিম অধ্যুষিত ভূখতে সরাসরি হামলা চালিয়েছে। কোথায় সেই মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা? কোথায় সে জাতিসংঘ?

আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী করছে? কিছুই না। কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কোনো জবাবদিহিতা নেই। বরং সেই পুরোনো বুলি-“ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার” যেন এই বাক্যটাই ওদের হত্যাযজ্ঞের লাইসেন্স। যেন তারা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে, যেকোনো মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং কেউ কিছু বলবে না (বলছেও না)।

সত্যটা হচ্ছে। ইসরায়েল এই খুনখারাপি করে পার পেয়ে যাচ্ছে কারণ যুক্তরাষ্ট্র মদদ দিচ্ছে। আমেরিকান ট্যাক্সদাতা জনগণের অর্থে এই রক্তপাত চালানো হচ্ছে। আমেরিকার গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে এই হামলা চালানো হচ্ছে। আর আমেরিকার কূটনৈতিক শক্তিই জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলকে যেকোনো জবাবদিহি থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে।

এটা আত্মরক্ষা নয়। এটা আধিপত্য, দণ্ডমুক্তি ও নগ্ন ক্ষমতার প্রদর্শন। এটা একটি বার্তা পুরো অঞ্চলকে বলা। আমরা চাইলে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় তোমাকে আঘাত করব- এবং কেউ আমাদের থামাতে পারবে না।

এই পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কি?

আত্মা আজকে যে গাযার মুসলমানেরা অনাহারে আছে… তাদেরকে সন্ত্রাসী ইহুদীদের হাতে নির্বিচারে গুলি খেয়ে, বোমার আঘাতে প্রতিদিন মারা যেতে হচ্ছে,,, আমাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন এসেছে যে পাশে কোন ভাল ইসলামি বিধান দ্বারা শাসিত দেশ থাকলে তারা হয়তো সাহায্য করতো… অবাক করার বিষয় হলেও সত্যি গাযার সাথে যে একটি মাত্র মুসলিম অধ্যুষিত ভূখণ্ড বা দেশের বর্ডার আছে তা হলো মিশর। কিন্তু মিশরে বসে আছে আমেরিকা এবং ইহুদীদের দালাল মুসলিম নামধারী সেকুলার ধর্মের অনুসরণকারী শাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। অবস্থা এরকম যে, ইসরাইল যদি অনুমতি দেয় শুধুমাত্র তখনই কিছু খাদ্য মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ করতে পারে। এমনকি ইজরায়েলের চেকিং ছাড়া একটা সুই ও মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ করতে পারে না।

হে মুসলিম ভাই, আপনাদের কাছে প্রশ্ন, কেন মুসলিম তাদের প্রতিবেশী মুসলমানদের সাহায্য পর্যন্ত করতে পারে না?

এখন বিষয়টা হল আমরা তখনই অন্য একটি দলকে সাহায্য করতে পারব যখন আমরা নিজে শক্তিশালী হব, আমাদের নিজের দেশেই যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না করতে পারি… তাহলে বহিবিশ্বের মুসলমানদের আমরা সাহায্য করবো কিভাবে?

ফিলিস্তিন তো অনেক দূরের ব্যাপার… রোহিঙ্গা গণহত্যা যেটা চলমান এবং ভারতে মুসলমানদের উপর যে প্রকাশ্য গণহত্যার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে এবং প্রতিদিন মুসলমানদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে হত্যা করা হচ্ছে নির্যাতন করা হচ্ছে…এর কতটুকু আমরা প্রতিরোধ করতে পেরেছি একজন বাঙালি মুসলিম হিসেবে?

কিন্তু যদি বাংলাদেশ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকত? যদি বাংলাদেশের সালাউদ্দিন আইয়ুবী এর মতন একজন শাসক থাকতো? যদি বাংলাদেশে এখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির মতন শাসক থাকতো?যদি বাংলায় বাশেরকেল্লার তিতুমীর এর বিপ্লব সফল হত?


“হে মুমিনগণ। তোমরা ইনসাফের উপর সুদৃঢ় থাকো। (সূরা নিসা ৪০০৫) বারা আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী বিচার করে না, তারাই কাকির, যালিম, ফাসিক। (সূরা মায়িদা ৪৪,০৫,৪৭)”

এখন ইসলামী শাসন থাকবে, তখন মুসলিম শাসকেরা ভূখওকেন্দ্রিক জাহিলিয়াত জাতীয়তাবান বাদ দিয়ে ইসলামী আতৃত্ববোধে বিশ্বাসী হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওই হাদিসটার উপর তারা আমল করবেন যেখানে বলা হয়েে “ভূমিনদের দুষ্টাও তাদের পারস্পরিক সংগ্রীতি, নভদ্রতা ও সহমর্মিতার দিক দিয়ে একটি মানব দেহের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় তখন তার সমগ্র দেহতাশ ও অনিদ্রা ডেকে আনে।”

আমরা বর্তমানে যেই জাহিলি সমাজ ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বাস করি সেখানে বাংলাদেশের একটি কাফিরের মূল্য ইন্ডিয়ার একটি মুসলমানের জীবনের থেকে অনেক বেশি। কারন আজকে আমরা মুসলমানেরা ভূখণ্ডকেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনায় আটকে গিয়েছি।

ভাই ভাইমেরা আসুন চিন্তা করি। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা এবং ইসলামী রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য কাজ করি। ইসলামী সমাজ এবং ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হলে শুধু যে আমাদের সমাজে এবং রাষ্ট্রে শান্তি আসবে তা না, সারা বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত মুসলমান এবং সকল জনগোষ্ঠীকে আমরা সাহায্য করতে পারব। উমার (রঃ) বলেছিলেন, “ফোরাত (বর্তমানে ইরাক, দিরিয়া এবং তুরস্ক এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত) নদীর তীরে যদি একটি কুকুর মারা যায়, তবে কাল কিয়ামতের ময়দানে উমার কে এর জন্য আল্লাহ র কাছে জবাব দিতে হবে।”

এই ছিল আমাদের মুসলিম দের শাসন। আর আজ?

যদি আজকে আমাদের বাংলাদেশ ইসনাম দ্বারা শাসিত একটি রাষ্ট্র হতো, আপনি বলুন আমরা কি গাযাই সামরিক সাহায্য করতে পারতাম না? আমরা পারছি না কারণ আমরা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার অধীনে না। তাই আসুন আমরা জামাতবদ্ধ হই। সকল ধরনের অনৈসলামিক দল যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে না তাদের পরিত্যাগ করি।

আমরা বাঙালি মুসলিম যুব সংঘ কাজ করে যাচ্ছি ইসলামী রাষ্ট্র বিনির্মাণে।

আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমরা মুসলিমবঙ্গে ইসলামী শাসনব্যবস্থা দ্বারা শাসন করতে চাই যেভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা সালতানাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে করেছিল। যেই শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষ তিতুমীর জীবন উৎসর্গ করেছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
LICENCE NO- TRAD/DSCC/210965/2019 and applied for registration.
Community Verified icon
 

Community Verified icon