মৌলভীবাজারে প্রথমবারের মতো ভিন্নমাত্রায় পালিত হলো ‘জুলাই উইমেন্স ডে ২০২৫’। ব্যতিক্রমধর্মী এই উদ্যাপন স্থানীয় নারী সমাজে সৃষ্টি করেছে আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বের প্রেরণা ও সামাজিক অগ্রগতির নতুন বার্তা।
১৪ জুলাই সোমবার, শহরের একটি অভিজাত মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি ছিল নারী অগ্রগতির পক্ষের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলানোর এক অনন্য উপলক্ষ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন। তিনি বলেন, “নারীকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়নই টেকসই হতে পারে না। নারীর সম্মান, সুযোগ ও সমর্থন নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: বুলবুল আহমেদ ও এনসিপি-এর স্থানীয় সমন্বয়কারী ফাহাদ আলম। তারা তাঁদের বক্তব্যে নারীর নেতৃত্ব বিকাশ ও সামাজিক ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও তরুণীর অংশগ্রহণে মিলনায়তনটি পরিণত হয় প্রাণচঞ্চল এক মিলনমেলায়। রঙিন ব্যানার, প্রাণবন্ত স্লোগান ও ফুলে সাজানো মঞ্চ জুড়ে উচ্চারিত হয় এক ঐক্যবদ্ধ প্রত্যয়— “জুলাইয়ের কন্যারা, হারিয়ে যাওয়ার নয়, পথ দেখানোর প্রতীক।”
আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নারী নেতৃত্বে অনুপ্রেরণামূলক গল্প বিনিময় ও সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে দিনটি হয়ে ওঠে উৎসাহ ও সাহসের এক মিলিত অধ্যায়।
অনেক অংশগ্রহণকারী জানান, এ আয়োজন শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়; বরং এটি ছিল আত্মমর্যাদাবোধের উন্মেষ ও নতুন পথচলার সূচনা।
উৎসবের শেষ প্রহরে উপস্থিত সবার হৃদয়ে ছিল একটাই উপলব্ধি যে মৌলভীবাজারের ‘জুলাই উইমেন্স ডে ২০২৫’ নারী জাগরণের ইতিহাসে হয়ে থাকবে এক উজ্জ্বল মাইলফলক।