 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    বর্তমানে ত্রয়োদশ (১৩তম) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। এটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি অথবা মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে। নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনটি হলো নেত্রকোণা-৩। এটি জাতীয় সংসদের ১৫৯ নং আসন।)
নেত্রকোনা-৩ আসনে (১৩তম)ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী যারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা না হলেও নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে বইছে আগাম ভোটের হাওয়া। রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখনই ভোটের মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন তাদের একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ১০ জন নেতা ভোটের মাঠে আছেন। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী যারা★ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তাঁর বাসভবনে একাধিকবার হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৫৬টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রুয়া ও আটপাড়া উপজেলায় গণসংযোগ করছেন। সৈয়দ আলমগীর খসরু বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ আলমগীর খসরু একটি বিএনপি সহযোগী সংগঠন এমবিএ অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশের সভাপতি।
তিনি মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশেরও আহ্বায়ক। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান।
তিনি এর আগে দুইবার বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। পেশায় তিনি একজন শিল্পপতি এবং ডায়নামিক গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার অসহায় মানুষকে নিয়মিত সহযোগিতা করছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা আছে এবং তিনি দু’বার কারাবরণ করেছেন। শিক্ষাপ্রসারের লক্ষ্যে তিনি কেন্দুয়াতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ডি জেড এম হাসান বিন শফিক সোহাগ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডি জেড এম হাসান বিন শফিক সোহাগ একজন পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত।
তিনি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এবং মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর দাদা ও নানার বাড়ি আটপাড়ায় হওয়ায় সেখানে তাঁর একটি বড় ভোটব্যাংক রয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তিনি অসংখ্য হয়রানির শিকার হয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ১৮টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। তিনি নিয়মিত এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আলহাজ্ব মো. দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল একজন অভিজ্ঞ জনপ্রতিনিধি।
তিনি কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান এবং কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মেজর সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, পিএসসি (অবঃ) প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
২০০৭ সাল থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী দলকে শক্তিশালী করতে দেশে ও বিদেশে কাজ করছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি তরুণ প্রজন্ম ও বিএনপি কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন প্রচারণায় অংশ নেন। জাহাঙ্গীর আলম সজল জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সজল ১৯৭৯ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
তিনি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এবং পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যান্য প্রার্থী এছাড়াও বিএনপির মনোনয়ন পেতে আগ্রহী অন্য নেতারা হলেন: কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক রায়হান আমিন তালুকদার রনি।
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সহ-সভাপতি এবং শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফা-ই-জামান সেলিম সিআইপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমরান তালুকদার। জামায়াত ও খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থীরা দেলাওয়ার হোসেন সাইফুল এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে আছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবং আটপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলাওয়ার হোসেন সাইফুল।
তরিকুল ইসলাম নুরানি বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় আছেন তরিকুল ইসলাম নুরানি। এই আসনে শেষ পর্যন্ত কে কোন দলের মনোনয়ন পান, তা দেখার জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।