“যশোরের রাস্তায় বিজিবির সাহসী অভিযান! ৩ জনকে ধরে ৩৬টা সোনার বার জব্দ – মূল্য ৮ কোটি!”
বৃহস্পতিবার ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি এর সার্বিক দিকনিদের্শনায় যশোরের কোতোয়ালী থানাধীন কোদালিয়া বাজার ও তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় দুইটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ০৩ জন আসামীসহ ৫.৩৩৪ কেজি ওজনের ৩৬ (ছত্রিশ) টি স্বর্ণের বার এবং ০৫টি মোবাইল আটক করে। এই সংবাদের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।
আটককৃত ব্যক্তিদের ম্যানিব্যাগ ও কোমরে বিশেষ ভাবে লুকায়িত অবস্থায় উক্ত স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঢাকা থেকে যশোর হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণগুলো নিয়ে যাচ্ছিল।
তারা আরোও জানায় ঢাকার মানিকগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী এলাকার চোরাকারবারীদের নিকট হতে স্বর্ণের বারগুলো সংগ্রহ করে যশোর ও চুকনগর গমন করছিল। আটককৃত ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা- (১) আশরাফুল ইসলাম সাজিদ (২৩), পিতাঃ আকরাম হোসেন, গ্রামঃ আংগারিয়া সিংগাইর, ডাকঘরঃ সিংগাইর, থানাঃ সিংগাইর, জেলাঃ মানিকগঞ্জ, (২) মোঃ জাহিদ হোসেন (২৬), পিতাঃ নূর মোহাম্মদ, গ্রামঃ লোন অফিস পাড়া বারান্দিপাড়া, ডাকঘর-বারান্দিপাড়া, থানাঃ কোতোয়ালি, জেলাঃ যশোর, (৩) সুজন কুমার বাপ্পি (৩৪), পিতাঃ আনন্দ চন্দ্র দাস, গ্রামঃ ফতেপুর, ডাকঘরঃ শিমুলিয়া, থানাঃ ঝিকরগাছা, জেলাঃ যশোর। আটককৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ৭,৮৯,৫৩,৮৬৮/-(সাত কোটি উননব্বই লক্ষ তিপান্ন হাজার আটশত আটষট্টি) টাকা ও ০৫টি মোবাইল এর মূল্য ৬৪০০০/- (চৌষট্টি হাজার) টাকা, ভারতীয় ৪০ রুপি (৫০ টাকা) এবং নগদ ৩৫,৩২০/- টাকাসহ *সর্বমোট আনুমানিক সিজার মূল্য প্রায় ০৮ কোটি টাকা (৭,৯০,৫৩,২৩৮/- টাকা)। আটককৃত স্বর্ণ যথাযথ আইন ও বিধিমালা মোতাবেক সরকারী কোষাগারে জমা হবে।
আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এর মাধ্যমে আসামীদেরকে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি জানান, দীর্ঘ দিন যাবত অস্ত্র, স্বর্ণ, রূপা, মাদক, ডলার, রুপি, হুন্ডি ও চোরাচালানী মালামাল আটকের নিমিত্তে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানী মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হচ্ছে। সীমান্তে বিজিবির এ ধরনের আভিযানিক কার্যক্রম সব সময়ই অব্যাহত থাকবে।