নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় একটি অভিযোগ তদন্ত চলাকালীন সময় এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের (ওয়াই বাজারে) একটি অভিযোগের তদন্ত চলছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার এবং কেন্দুয়া উপজেলা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে শত শত স্থানীয় এলাকাবাসীর সামনে সাংবাদিক মহিউদ্দিন ও স্থানীয় এক ব্যক্তি হালিম মাস্টারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় মারামারি ঘটে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্ষুব্ধ স্হানীয় জনতা অস্হানীয় সাংবাদিক মহিউদ্দিনের ওপর হামলা চালায়।
ইউএনও’র সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেন ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার। তিনি উত্তেজিত স্হানীয় জনতার হাত থেকে মহিউদ্দিনকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে আঘাত পান।
এরপর আহত সাংবাদিককে স্থানীয়দের হাত থেকে রক্ষা করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
ভুক্তভোগীর একজনের বক্তব্য ও বর্তমান পরিস্থিতিঃ
আহত সাংবাদিক মহিউদ্দিনের সহকর্মী
সাংবাদিক তানজিলা আক্তার রুবি জানান, ঘটনার পর সাংবাদিক মহিউদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কয়েকবার বমি করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আগে থেকেই আতঙ্কিত ছিলাম। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।”
অন্যদিকে, ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার নিশ্চিত করেছেন যে তিনি সাংবাদিককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।