 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির অঙ্গনে শুক্রবার বিকেলে জমেছিল ভিন্ন রকমের এক আবহ। তিন বছরের সেরা সাংস্কৃতিক সাধকরা একে একে উঠে এলেন আলোঝলমলে মঞ্চে, আর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো গুণীজন সম্মাননা। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এই সম্মাননা যেন হয়ে উঠল জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রাণকেন্দ্রে এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন নাট্যকার শাহিন ইকবাল এবং সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানভীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দিন এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী।
এদিন গুণীজন সম্মাননায় ভূষিত হন—সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক মোহাম্মদ আকবর, কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী, নাট্যকলা সাধক আবদাল মাহবুব কোরেশী, চারুকলার শিল্পী ওয়ালীউর রহমান, যন্ত্রসংগীতের কারিগর দুর্গাপ্রসাদ দেশোয়ারা, সৃজনশীল গবেষক মোস্তফা সেলিম, নাট্যকলা ব্যক্তিত্ব মো. দেলোয়ার হোসেন, যন্ত্রশিল্পী প্রসাদ দাস, কণ্ঠসংগীতের মো. তারেক ইকবাল চৌধুরী, লোকসংস্কৃতির রক্ষক সিরাজুল ইসলাম ভোলা, গবেষক মুজিবুর রহমান মুজিব, ইন্দ্রজিৎ দেব, লোকসংস্কৃতির মো. আব্দুস সহীদ, নাট্যকলা শিল্পী মো. তাজুল ইসলাম এবং কণ্ঠশিল্পী নাদিরা আক্তার।
মঞ্চে উঠেই সম্মানিতরা আবেগে ভেসে যান। কেউ স্মরণ করেন সাংস্কৃতিক জীবনের সংগ্রামের দিনগুলো, কেউ আবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পুরো মিলনায়তন জুড়ে তখন করতালির ঢেউ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, “সংস্কৃতিই জাতির প্রাণ। আমাদের সমাজে যারা সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তারাই প্রকৃত আলোকিত মানুষ। জেলা শিল্পকলা একাডেমির এই স্বীকৃতি তাঁদের নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
এ যেন শুধু একটি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান নয়, বরং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রেরণার বাতিঘর, যেখানে মৌলভীবাজারের শিল্প, সাহিত্য, সংগীত, নাটক ও গবেষণার স্রোতধারা একসাথে মিলিত হয়ে এক মহোৎসবের জন্ম দিয়েছে।