আবু বকর সিদ্দিক, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে বাস যোগে বাড়ি ফেরার পথে বাসের মধ্যে ছেলের মৃত্যু হলে জয়পুরহাটের হিচমী নামক স্থানে বাসের কন্ট্রাকট্রার করোনা সন্দেহে ছেলের মরদেহ সহ মাকে গাড়ি থেকে নেমে দিলে ছেলের মরদেহের পাশে বসে থাকলেও পাশে আসেনি কেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর থেকে মা ও ছেলেকে পাহারা দেন। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন গিয়ে করেনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে মরদেহের দাফনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
পুলিশ জানায়, আজ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা হতে যাত্রীবাহী আসাদ পরিবহন বাসে নওগাঁ জেলার ধামুইড়হাটের অসুস্থ্য মিজানুর রহমান ও তার মাকে নিয়ে বাড়ির উদ্যেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে মিজানুর রহমান হঠাৎ স্বাসকষ্টে মারা গেলে ভোর রা৩ তিনটার দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর উপজেলার হিচমী নামক স্থানে মরদেহসহ মাকে নামিয়ে দিয়ে বাসটি অন্যান্য যাত্রীদেরকে নিয়ে চলে যায়।
এসময় ছেলের মরদেহ নিয়ে মায়ের আহাজারীতে এলকাবাসী আসলেও কাছে ভিড়েনি কেহ। পুলিশ এসে মরদেহ পাহারা দেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনকে খবর দেন। স্বাস্থ্য বিভাগ এসে নমুনা সংগ্রহ ও প্রশাসন এসে দাফনের প্রক্রিয়া করছে।
মায়ের আবদার ছেলেটির মরদেহ গ্রামে নিয়ে দাফন করবে বলে জানালেন ছেলের পিতা আতোয়ার হোসেন।সে ধামইর হাট থানার আতোয়ার হোসেনের পুত্র মিজানুর রহমান । মাতার নাম সোহেলী বেগম। জয়পুরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় জানান লাশের মরদেহ দাফন কাফনের ব্যাবস্থা নেয়া হবে।