আবু বকর সিদ্দিক, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ আজ ১৬ ইমে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস।ভারতের একগুয়েমীর ফলে ফারাক্কা বাধের ন্যায় সংগত সমাধান যখন অসম্ভব হয়ে দাড়ায় , তখন মৃত্যু শয্যা থেকে মওলানা ভাসানী ডাক দিলেন ফারক্কা মহামিছিলের যাহা ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ নামে বিখ্যাত হয়েছিল।
তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে ডাক দিলেন ফারাক্কা মিছিলের ঘোষনা।এই ঘোষনা দেয়ার কথা জয়পুরহাটের পাচবিবি কৃষক সম্মেলনে। কিনতু মওলানা ভাসানী খুলনা সফরকালে অসুস্থ হয়ে গেলে মহিপুরের সম্মেলনে যোগদান করতে পারেননি। আজ ১৬ ই মে সেই সময় তিনি মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে নবতিপর বৃদ্ধ মওলানাভাসানী ফারাক্কা মহামিছিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি করেছিলেন । ফাারাক্কা আর্ন্তজাতিক সমস্যা এটা তিনি প্রমান করেছিলেন।
মওলানা ভাসানী জাকের সম্মেলন, জাগমুই, লেবারপার্টি মতিন, কৃষকসমিতি, সহ ন্যাপের নেতা কর্মীদেও নিয়ে একটি কমিটি তৈরী করেছিলেন। যাহা ঐতিহাসিক ফারাক্কা কমিটি নামে পরিচিত ।
মওলানা ভাসানী কে সভাপতি করে১০১ সদস্য একটি কমিটী করা হয়েছিল, পরবর্তিতে তা বাড়ানো হয়েছিল। ,সিরাজুল হোসেন খান, আবু নাসের খান ভাসানী, হাজী দানেশ বজলছু ছাত্তার, সৈয়দ ইরফানুল বার,কামাল রোহান, মওলানা মতিন, সানাউল্লাহনুরী,রাশেদখান মেনন,ভাষামতিন, আজাদ সুলতান,মাহফুজুল্লাহ,আ: রশিদ ,বুলবুল খানমাহবুব,খালেদুর রহমান টিটো,সহ অকে বড় বড় নেতা তার সংগে যোগ দিয়েছিলেন।
ফারাক্কা মিছিল রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন । তিনি তৎকালিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে উদ্দেশ্য কওে বলেছিলেন ফারাক্কা বাধ খুলে দাও নইলে বঅংলার ৯ কোটি মানুষ এটা ভেংগে ফেলবে\ আপনার বাবা পন্ডিত জওহরলার নেহেরু আমার বন্ধু ছিলেন , তিনি বেচে থাকলে আমাদেও পানি র্বধ কওে দিয়ে ইমাম হোসাইনের মত মারতে পারতেননা। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করিনা।
ভারতীয়জনগন আমাদেও বন্ধু, কিন্তু সরকার শত্রুর ভুমিকায় রয়েছে। ফারাক্কা বাধের প্রভাবে আমাদেরও দেশ মরুভুমিতে পরিনত হবে। পৃথিবীর কোন নদীর পানি কেউ আটকাতে পারেনা। নদী সাগর আল্লাহর সম্পদ এতে সকলের অধিকার আছে।
মাদ্রাসা ময়দান থেকে একটি মিছিল রওয়ানা হয়ে মহাননদা নদী নৌকাতে পার হয়ে কানসার্টে গিয়ে শেষ হয়। সেদিন ছিল প্রচন্ড খরতাপ , ঐ মিছিলে এই প্রতিবেদক উপস্থিত থেকে আমি দেখেছিলাম কি মানুষের ঢল, রাস্তার দুই ধাওে সে কি অপরুপ দৃশ্য সবাই করতালী দিয়ে এই মহামিছিলের অগ্রভাগে থাকা মওলানাকে মনে হচ্ছিল বিশে^র ঐতিহাসিক মহানায়ক মুকুটহীন স¤্রাট।
রাস্তার ধারে স্বেচ্ছাসেবকরা মিছিলে লোকদের চিরা, বতাসা, ও পানি খাওয়ার ব্যাবস্থা করেছিলেন । এবং খিচুরীর ও ব্যাবস্থা করা হয়েছিল । মহিলারা পানি নিয়ে মাটির কলস নিয়ে দাড়ীয়ে ছিল। জয়পুরহাট থেকে ফারাক্কা কমিঠীর চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন, নজরুল ইসলাম দিশারী, ডা: আ: রহমান, মুছাব্বর আলী খনদকার আবুবকর সিদ্দিক, ছায়ফুল ইসলাম, আশরাফ মৌলভী, মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হেসেন,মোফাজ্জল হোসেন, ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন সহ আমরা লাল টুপী পরেও আগের রাতেই ট্রেনে কওে রাজশাহীতে পৌছেছিলাম্।
আজকে মওলানা ভাসানীর কথা সত্য প্রমানীত হয়েছে , এখনও আমরা ফারাক্কার ন্যায্য হিস্যাা পাইনি। দেশের সব নদী গুলো আজ মরা নদীতে পরিনত হয়েছে\ দেশ মরুভুমিতে পরিনত হতে চলেছ্, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি মওলানার সেই বানী আজ শুনতে পাচ্ছে ১৮ কোটি শোষিত জনতা।