মোঃ মাসুদ পারভেজ,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ মোংলার ঠিকানায় করোনা পজিটিভ সনাক্ত হওয়া গৃহিণী তামান্না আক্তার (১৬) মূলত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা।তার স্বামী নাইম ফরাজী (৩০) ডুমুরিয়া – চুকনগর রুটে অটোগাড়ী চলায়।
এর আগে তারা ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ছিলেন।সেখানে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার ডুমুরিয়া চুকনগর চলে আসেন।চুকনগরে এসে অসুস্থতাবোধ করলে গত ৮জুন তামান্নার করোনাভাইরাস পরিক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর পর ১২ জুন তার দেয়া নমুনা রিপোর্ট করোনা ভাইরাস পজিটিভ সনাক্ত হয়।তামান্না বর্তমানে চুকনগরের ভাড়া বাড়িতেই অবস্হান করছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী নাইম ফরাজী।
তামান্নার পিতার বাড়ি মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের চৌরিডাঙ্গা গ্রামে।চৌরিডাঙ্গা একরাম মল্লিকের কন্যা তিনি।জন্ম নিবন্ধনে তামান্নার পিতার বাড়ির ঠিকানা মোংলার হয়াতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি মোংলার ঠিকানা দেন
যার কারনে খুলনা মেডিকেল কলেজের করোনাভাইরাস সনাক্ত করন ইউনিট থেকে তামান্নার পরিচয় মোংলা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে তার স্বামী নাইম ফরাজী মোংলা মিঠাখালী ইউনিয়নের গোয়ালের মেঠ গ্রামের শহিদ ফরাজীর ছেলে।স্বামী–স্ত্রী উভয়েরই পিতার বাড়ি একই ইউনিয়নে।
এ বিষয়ে মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মোঃইস্রাফিল হাওলাদার বলেন,তামান্না ও নাইম দীর্ঘ এক বছরের ও বেশি সময় ধরে পিতার বাড়ি মোংলার মিঠাখালীতে আসেনি।
এদিকে শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে দেয়া তথ্যে মোংলার চৌরিডাঙ্গার তামান্না আক্তার(১৬) করোনাভাইরাস পজিটিভ সনাক্ত ঘোষনার খবরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে মোংলার বাসিন্দাদের মধ্যে।পরবর্তিতে খোজ খবরে জানা যায়,তামান্না দীর্ঘ এক বছরের ও বেশি সময় ধরে বাড়িতে আসেননি এবং তিনি বসবাস করেন মোংলার বাহিরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামে।এরপর থেকে মোংলার জনসাধারণ কিছুটা হলেও করোনা মহামারীর আতংক থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত মোংলার স্হায়ী কিংবা বাহির থেকে আসা এমন কারো করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন মোংলা উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃজীবিতেষ বিশ্বাস।