গতকাল ২৪শে জুলাই রবিবার সন্ধার পরে জুরাইন পাইপরাস্তা সংলগ্ন আওয়ামীলীগ নেতা ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে প্রধান অতিথি হিসেবে ড. মোঃ আওলাদ হোসেন এলাকার জন-সাধারণদেরকে সংগে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কিভাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহার সাশ্রয়ী করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি এলাকাবাসীদের অনুরোধ জানান, তারা যেনো কোনোভাবেই অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও গ্যাসের অপচয় না করেন। বিনা প্রয়োজনে এসি, ফ্যান, বাতিসহ কোনো ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি না ব্যবহারের অনুরোধ ও জানান। তিনি আরো জানান, আমাদের আজকের সঞ্চয়-ই আগামী দিনের জন্য সুন্দর আর একটি উজ্জল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে।
ড. মোঃ আওলাদ হোসেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের জনসাধারণের জান-মাল নিরাপত্তাসহ খাদ্য-দ্রব্য ক্রয় ক্ষমতাসহ সড়কপথ উন্নয়ন ও আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুঁ উপহার দিয়েছেন। আপনারা ভালো করে তাকালেই দেখবেন, দোলাইরপাড়, জুরাইন বা পোস্তগোলার সড়ক আরো কয়েক বছর পূর্বে কেমন ছিলো আর আজ কেমন হয়েছে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের বহু দেশে অর্থ ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। টাকা থাকলেও অনেক দেশে খাদ্য নেই, বিদ্যুৎ নেই, তেল, গ্যাস-সহ অনেক কিছুর সংকটে বিশ্ব আজ দিশেহারা। অনেক দেশেতো মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ও নেই, কিন্তু আমাদের দেশে অপরাধ করে কারো পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধামন্ত্রীর ছোয়ায় প্রশাসনিক ও আইনি বিষয়গুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। যেখানেই অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনী সাথে সাথেই ছুটে যাচ্ছেন। সেই তুলনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগনকে অনেক ভালো রেখেছেন এবং আরো বেশি ভালো কিভাবে রাখা যায়, সে বিষয়ে ও তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর এই সফলতার প্রত্যেকটি কাজে দেশের জনগণ ও আমরা আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মী তাঁর পাশে ছিলাম এবং আগামীতে ও থাকবো বলে আশা রাখি।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী সরকারই দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। যেমন, মালায়শিয়ান প্রধানমন্ত্রী মাহাথি মোহাম্মদ দীর্ঘ ২০ বছর একটানা ক্ষমতায় থেকে কিভাবে দেশটাকে এগিয়ে নিয়েছেন সেটা বিশ্ববাসীর অজানা নয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে চাইলে আওয়ামীলীগ সরকারের কোনো বিকল্প নাই। তাই আমরা ২০২৩ সালের নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো বেশি শক্তিশালি করতে আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দেখতে চাই। এজন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের মানুষকে আরো বেশি সচেতন করতে কাজ করে যেতে হবে। ড. মোঃ আওলাদ হোসেন তার দীর্ঘ আড়াই ঘন্টার বক্তব্যে এ বিষয়গুলো সহ আরো অনেক বিষয়ে কথা বলে তার বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কদমতলী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৫২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ নাসিম মিয়া, সভাপতিত্ব করেন, ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি (বীরমুক্তিযোদ্ধা) লিয়াকত আলি (মুফতি) অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, শ্যামপুর থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শরীফ মোঃ শাহজাহান, উপস্থিত ছিলেন, মোঃ জাকির হোসেন মোল্লাসহ আরো অনেক নেতাকর্মী।