বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দফা এক, দাবি এক। শেখ হাসিনার পদত্যাগ। অবিলম্বে পদত্যাগ করো। সংসদ বিলুপ্ত করো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করো। দেশ চলবে নতুন পার্লামেন্টের নেতৃত্বে। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সেই পার্লামেন্ট গঠিত হবে। নির্বাচন একটাই হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।’
সোমবার বিকেলে বগুড়া শহরের সূত্রাপুর সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
চার কোটির বেশি নতুন ভোটারের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে তরুণদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে এ তারুণ্যের সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর হাবিব ওরফে দুলু, এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ওরফে দুলু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন ওরফে টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দেশের গণতন্ত্র লুট হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পাকিস্তানি হানাদারদের মতো আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে, বন্দুকের ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করেছে, তারা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার দাবি করে।
গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফেরানোর আন্দোলনে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। এতটা কঠিন সময় আর কখনো আসেনি। সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। নতুন ভোটারদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্পে লুটপাট করছে অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে চার কোটি বেকার। মেধাবীদের চাকরি দিতে পারে না সরকার। ব্যবসার সুযোগ দিতে পারেনি। তারা চাকরি কোথা থেকে দেবে। তারা তো কী করে লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করবে, বিদেশে বাড়ি বানাবে, সেটা নিয়ে ব্যস্ত।
বগুড়ার তারুণ্যের সমাবেশে আসার পথে বাস বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার এতটা ভিতু, এতটা কাপুরুষ, তারা ভীত হয়ে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, গাড়ি চলতে দিলে বগুড়া শহরে মানুষের জায়গা দিতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগ নাকি ভয় পায় না, তারাও নাকি ভিসা নীতি চালু করবে। এদের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। এরা কী বলছে না বলছে, নিজেরাও জানে না।