আষাঢ় গগনে তিল ঠাই আর নাহিরে, ওগো আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
আষাঢ় মানে কবি গুরুর কবিতার এ দু-লাইন মনে পড়ে যায়। কিন্তু বর্ষার বেশ কয়েক মৌসুমে কবিতার এ দু-লাইনের সাথে অমিল। গেল গ্রীস্মকালে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবণ অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল। কবে আষাঢ়ের দেখা মিলবে, শুরু হবে বর্ষা সে, সাথে শেষ হবে প্রচন্ড তাপদাহ ও অতিষ্ট গরম জনজীবণে ফিরে আসবে সস্থি।
আশা ও ভরসা নিয়ে মানুষের অপেক্ষা। আষাঢ় মাসের ঊনিশ দিনের মতে অতিবাহিত হলেও আশানুরুপ বৃষ্টির দেখা পাইনি মানুষ। তাতেকরে মৌসুমি চাষাবাদ ব্যাহত হয়। তদুপরি গ্রীস্মের মত তাপদাহ অব্যাহত থাকে। উভয় সংকটে চাষীরা ও সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতির অবসান হল আজ বিকেল বেলা।
গতকাল ০৪ই জুলাই রোজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫ টার সময় লোহাগাড়া উপজেলা ও পার্শ্ববতী এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। তাতে প্রচন্ড তাপদাহ ও অসস্থিকর গরম কেটে গেলে মানুষ সস্থির নিঃশ্বাষ ফেলে। পাশাপাশি চাষীরা খুবই আনন্দিত। কেননা তারা মনের মত করে চাষাবাদ করতে পারবে তথা জমিতে ফসল ফলাতে পারবে।
চাষাবাদের জমিতে পর্য্যাপ্ত পরিমান পানি না থাকলে চাষের জমিতে চাষ করতে মারাত্বকরুপে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়। প্রচুর পরিমান বৃষ্টির কারণে এমন পরিস্থিতির অবসান হল আজ। চাষীদের বিশ্বাষ এমন বৃষ্টিধারা অব্যাহত থাকলে চাষাবাদে আর কোন বাধা নাই। এ বৃষ্টি শান্তি ও সস্থির বৃষ্টি। চাষীরা ও সাধারণ মানুষের আশা এ শান্তি ও সস্থির বৃষ্টি সারা বর্ষা মৌসুম পর্যন্ত অব্যাহত থাকুক।