গবাদিপশু লাম্পি স্কিন ডিজিজ আতংক, মরেছে অনেক গরু, প্রতিকারে সবর্চ্চ চেষ্টা উপজেলা প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের। নাটোরের বড়াইগ্রামে গবাদিপশু মৃত্যু খুব বেশি পরিমানে বেড়েছে।
আতংকিত খামারি এবং সাধারণ মানুষ বিশেষ ভাবে সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারি এটি একটি ভাইরাস যার নাম লাম্পিং স্কিন ডিজিজ এটা হলে গরু শরীরে তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় এবং পুরো শরীরে ছোট ছোট গোটা বের হয় এবং পাচঁ থেকে সাত দিনের মধ্যেই পশু মারা যায়।
সরেজমিনে তথ্য নিয়ে আরো জানতে পারি যে বেশ কয়েকজন খামারির গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে মারাও গেছে বড়াইগ্রাম উপজেলায় বাগডোব গ্রামের লোকমান হোসেনের একটি, খাকসা গ্রামের সোহেল রানার একটি এবং খাকসা গ্রামের রনি আহমেদের একটি গরু এই লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আমির হামজার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমরা গ্রামে গ্রামে সচেতন মূলক সেমিনার সভা করছি খামারিদের সচেতন করছি এবং সেই সাথে আমরা আক্রান্ত গরুর জন্য সার্বিক চিকিৎসা প্রদান করছি।
তিনি এও বলেন সারা বাংলাদেশের সব জায়গায় এই ভাইরাস ছরিয়ে পরেছে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এই রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় বিদেশ থেকে ভ্যাকসিনটি আমদানি করতে হচ্ছে তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হচ্ছে।
পরিশেষে তিনি আরো জানান, আগামী বুধবার ছয় তারিখ বিকেল তিনটায় খাকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ব্যাপারে সচেতন মূলক আরো একটি সভা করার ঘোষণা দেন এবং সকল সাধারণ খামারিদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান।