1. info@dailyshadhinbarta.com.bd : দৈনিক স্বাধীন বার্তা : দৈনিক স্বাধীন বার্তা
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

কিমদের যৌন চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর বাছাই করা হয় ২৫ জন কুমারী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪

উত্তর কোরিয়ার শাসকদের ধারণা, সুন্দরী ও কুমারী মেয়েদের সঙ্গে যৌন ঘনিষ্ঠতা অমরত্ব দেবে। তাই ৭০ এর দশক থেকে সারা উত্তর কোরিয়ার স্কুলে স্কুলে অভিযান চালানো শুরু হয়। এই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যহত রয়েছে। যাকে বলা যায় রাষ্ট্রীয়ভাবে যৌন মিলনের জন্য কুমারী মেয়েদের তুলে আনা। আবার এইসব কুমারী মেয়েদের বয়স ২০ বছরের কম হতে হবে। যাদের নির্বাচিত করা হবে তাদের আর রক্ষা হয় না। ১৮ বছর বয়সে তুলে আনে ২০ বছর বয়স হলে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়।

জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার বর্তমান ও সাবেক নেতাদের সম্পর্কে এমন তথ্য তথ্য দিলেন দেশটি থেকে পালিয়ে আসা তরুণী ইওনমি পার্ক। বর্তমান নেতা কিম জং উন সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়।

এদিকে মিররের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পার্কের দাবি, কিম তার মনোরঞ্জনের জন্য প্রতি বছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে তুলে নেন। ওই মেয়েদেরকে তাদের চেহারা ও রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়। তিনি আরও বলেছেন, তাকে কিমের ‘প্লেজার স্কোয়াড’-এর জন্য দুবার আনা হয়েছিল কিন্তু তার পারিবারিক অবস্থার কারণে তাকে নির্বাচিত করা হয়নি।

পার্ক বলেন, তারা প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ পরিদর্শন করে, এমনকি স্কুলের মাঠেও পাছে না সুন্দরী কেউ বাদ পড়ে যায়। কিছু সুন্দরী মেয়ে পাওয়ার পর প্রথমেই তাদের পারিবারিক অবস্থা ও তাদের রাজনৈতিক অবস্থার খোঁজ খবর নেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা, দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্য দেশে আত্মীয়-স্বজন আছে এমন মেয়েদের তারা বাছাই করে না।

তিনি দাবি করেন, মেয়েরা একবার নির্বাচিত হলে তারা কুমারী কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার সময় যদি ছোট দাগের মতো ক্ষুদ্রতম কোনো ত্রুটিও পাওয়া যায় তাহলে তাকে অযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। এতসব কঠোর পরীক্ষার পর সমগ্র উত্তর কোরিয়া থেকে বাছাই করা কিছু মেয়েকে শুধু পিয়ংইয়ং পাঠানো হয় কিমের মনোরঞ্জনের জন্য।

২৫ জন মেয়েকে তিন দলে বিভক্ত করা হয়। এক দল ম্যাসাজ করে, অন্যটি গান ও নাচের জন্য আর তৃতীয় দলকে কিমসহ অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়।

পার্ক বলেন, ‘তাদের স্বৈরশাসক ও অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে হবে। তাদের শিখতে হবে কিভাবে এই পুরুষদের খুশি করা যায় এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

কিমের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়েদের নির্বাচন করা হলেও, বাকিদেরকে নিম্ন-পদস্থ জেনারেল ও রাজনীতিবিদদের সন্তুষ্ট করার জন্য নিয়োগ করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একবার স্কোয়াডের সদস্যদের বয়স বিশের মাঝামাঝি পৌঁছে গেলে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিমের দেহরক্ষীদের বিয়ে করে নেয়।

পার্কের তথ্য মতে, এই ‘প্লেজার স্কোয়াড’-এর উৎপত্তি ১৯৭০’র দশকের কিম জং-উনের বাবা দ্বিতীয় কিম জং-এর যুগ থেকে। তিনি বিশ্বাস করতেন, যৌন ঘনিষ্ঠতা তাকে অমরত্ব দেবে। তবে, তিনি ২০১১ সালে ৭০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Licence No- TRAD/DSCC/210965/2019 and applied for registration.

Community Verified icon
 

Community Verified icon