সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ও পদত্যাগ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গুম, খুন ও জুলুমের অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে ঢাকা-৪ এর জুরাইন পাইপরাস্তার ৯০ নং ওয়ার্ড থেকে ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকশো নেতাকর্মী এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
সারাদিন ঘিরে মিছিলটি জুরাইন মুন্সিবাড়ি হইতে খন্দকার রোড, পোস্তগোলা, আইজি গেইট, দোলাইরপাড়, আলম মার্কেটসহ আরো বেশ কিছু এলাকায় শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে। বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ ও এতে অংশ গ্রহণ করেন।
উক্ত মিছিলে নেতৃত্ব দেন, ৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ জামান আহমেদ পিনটু, শ্যামপুর থানার প্রবীণ নেতা এবং ৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, কৃষকদলের সভাপতি কাজল মৃধা ও যাশাস শ্যামপুর থানার সভাপতি মোশারফ হোসেন। ৫৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা অনেক করেছেন গুম, খুন, নির্যাতন, দূর্নীতি আর ধ্বংসাত্তক কাজে জড়িয়ে পুরো দেশটাকে জেলখানা বানিয়ে ছেড়েছেন।
তাই আপনাদের সাবধান করে দিতে চাই। ঘড়ের ছেলে ঘড়ে থাকুন, বাহিরে বের হয়ে কোন ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসাত্বক কাজে জড়ানোর চেষ্টা করলে পিঠের ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আপনারা আমাদের ওপর অনেক জুলুম নির্যাতন করেছেন। মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছেন। আমরা আমাদের বাড়ি ঘড়ে দীর্ঘ ১৫ বছরেও শান্তিতে ঘুমোতে পারিনি। প্রাণের ভয়ে বহু বছর পরিবার থেকে দুরে থেকেছি।
আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আমরা সবই সজ্জ্য করেছি কারণ আমরা জানতাম কোন এক সময় স্বৈরাচারের পতন হবে আর বিজয় ঘড়ে ফিরে আসবে। আজ সেই দিন এসেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে সেই বিজয়ের পথে হাটতে শুরু করেছি।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের ওপর আমাদের অনেক রাগ ও ঘৃণা রয়েছে, শুধুমাত্র আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা সব ভুলে গেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন কোন ধ্বংসাত্বক কাজে যেন বিএনপির কোন কর্মী যেন না জড়ায় এবং বিরোধীদের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন আক্রমন যেন না করি।
আমাদের ঢাকা-৪ ও ৫ এর প্রাণ প্রিয় নেতা আলহাজ তানভীর আহমেদ রবিন বলেছেন, এই এলাকা হবে একটি শান্তি প্রিয় এলাকা। বিএনপি, আওয়ামীলীগসহ সকল দল ও যে কোন ধর্মের, সে যেই হোক না কেন, বিএনপির সকল নেতাকর্মী সবাই সহযোগিতা মূলক আচরণ করবে। তবেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করতে এবং এই এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।