 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন পাঠক ও রাষ্ট্র ছাড়া ’আমার দেশ’ কারো কাছে দায়বদ্ধ না। আমাদের প্রকাশিত সংবাদে কোন দল বা প্রভাবশালি কোন ব্যক্তি ও ছাড় পাবেনা। আমাদের সংবাদ হবে এই দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত গণতন্ত্রকামি মানুষে মুক্তির পক্ষে।
অনুসন্ধানিমূলক সংবাদ তৈরিতে সাংবাদিকদের উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সংবাদ তৈরিতে কোন ছাড় দিবেন না। একপক্ষের বক্তব্যকে ঘিরে সংবাদ তৈরি করবেন না। বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ তৈরি করবেন। কারো বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার যেন চরিত্র হরণ করা না হয় সেই দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই সংবাদটি পাঠকদের কাছে গ্রহন যোগ্যতা পাবে।
আমরা একটা সময় খেয়াল করেছি ফ্যাসিবাদি ও স্বৈারাচার সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে জঙ্গী নাটক সাজিয়ে অবৈধ সরকারের নির্দেশে প্রশাসনের বিভিন্নবাহিনী নির্বিচারে মানুষকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাসিয়ে প্রেস কনফারেন্স করতো। দেশের প্রথম সাড়ির গণমাধ্যমগুলো ও সেই সংবাদ প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে থাকতো। এ রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই দিকটা মনে রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, আজকে আমার দেশ পরিবারের জন্য অতি আনন্দঘন একটি মূহুর্ত। দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছর ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার হাসিনা আমাদের কথা বলতে দেয়নি। অত্যাচার, জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে আমাদের কন্ঠকে রোধ করতে চেয়েছিলো। তাতেও ফ্যাসিবাদিরা সফল হয়নি কিন্তু আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ন অনেকটা সময় শেষ করে দিয়েছে। তিনি আবারও একটি কথা স্বরণ করিয়ে বলেন, এটিই আমার জীবনের শেষ ইনিংশ। জীবনের বাকিটা সময় আমি মিডিয়া নিয়েই কাজ করে যেতে চাই এবং প্রমান করে দিতে চাই যে বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক মানের পত্রিকা তৈরি করা সম্ভব।