আইন অমান্য করলেই মামলা, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। আইন অমান্যকারি প্রশাসনের কর্মচারি হলেও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতেও পরামর্শ দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশে দ্বায়িত্বে থাকা সদস্যরা।
ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রানহানিও যেমন বাড়ছে, বাড়ছে অঙ্গহানিরমত ঘটনাও। রাজধানীর সড়কগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। আইন অমান্য করে গাড়ি চালালে বা কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেই তাকে দিচ্ছেন মামলা। এমনকি প্রসাশনে কর্মরত ব্যক্তিরাও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
আজ রাজধানীর প্রানকেন্দ্র যাত্রাবাড়ি-ডেমরা মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশ অত্যান্ত কঠোরভাবে সড়কে নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে কাজ করছে। উল্টোদিক দিয়ে আসা যানবাহন ঠেকাতে বিভিন্ন টিম বিভিন্নস্থানে কাজ করছে। যেখানে কখনো ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যেতনা সেখানেও তারা কঠোরভাবে অবস্থান করে সড়কে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কাজ করছে।
যাত্রাবাড়ি কাঁচাজারের সামনে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট নয়ন সাহেবের সাথে। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ি ঢাকার একটি ব্যস্ততম শহর। প্রতিনিয়ত এই মহাসড়ক দিয়ে কয়েকলক্ষ যানবাহন চলাচল করে থাকে। তাই এখানে যানজটের সংখ্যাও অনেক বেশি হয়ে থাকে। সবসমই আমাদের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্বায়িত্ব পালন করে থাকলেও এই সড়কে বিশৃঙ্খলা কমানো যাচ্ছে না।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা কিছুটা বাড়িয়ে মূল সড়ক ব্যতিত যাত্রাবাড়ির বিভিন্ন স্থানে যেমন, কাঁচাবাজারের সামনে, মাছের বাজারের সামনেসহ আরো বেশকিছু জায়গায় বাড়তি কিছু ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করছে। কারন এখান দিয়ে উল্টোপথে কিছু গাড়ি সবসময় চলাচল করে থাকে, যার জন্য যানজট লেগেই থাকে।
তিনি আরো জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সরকার যেমন দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছে ঠিক তেমনি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সবগুলো ট্রাফিক বিভাগ। তাই যে সকল চালকরা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। তিনি আশা রাখেন খুব শীঘ্রই সড়কের শৃঙ্খলা সাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে এবং দুর্ঘটনা ও কমে আসবে।