পরশুরামে কৃষি কাজের উন্নয়নে ’’ট্রে’’ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চারা উৎপাদন করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবনগর গ্রামের স্থানীয় কৃষকরা ট্রে পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন শুরু করেছে। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ট্রে পদ্ধতিটি চারা উৎপাদনের সবচেয়ে আধুনিক মাধ্যম। এতে একদিকে যেমন ধানের উৎপাদন খরচ কম হবে অন্যদিকে শ্রমিক সংকট নিরসন হবে।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছেন, পরশুরাম উপজেলায় প্রথমবারের মতো ৪,৫০০ ট্রেতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। এই বীজটি সাধারণত ৫০ একর জমিতে রোপন করা যায়। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত ২৫ দিনে চারা মাঠে রোপন করা যাবে। প্রতিটি ট্রেতে ১২০ গ্রাম থেকে ১৩০ গ্রাম ধানের বীজ বপন করা হয়ে থাকে। ট্রের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি ২৫ দিনের মধ্যে চারাগুলা মাদরের মতো করে ফেলা হয়।
ট্রে পদ্ধতির মাধ্যমে একজন শ্রমিক একদিনে মেশিন দিয়ে ১৫ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারবেন। ট্রে পদ্ধতিতে চারা টেনে তুলার কোন প্রয়োজন হয় না। এর ফলে চারা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, পরশুরামের সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার না করে ট্রে পদ্ধতি ব্যবহার করলে একজন কৃষকের খরচ অর্ধেকের নিচে নেমে আসবে। খরচ নিচে নেমে আসলে এতে উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।