সরকার বিরোধী আন্দোলনে দেশের ছাত্র-জনতা যেভাবে দেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে, ঠিক এভাবে এর আগে কখনো কোন আন্দোলনে এত একত্বতা দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার হাতেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিৎ হলো। কিন্তু এ বিজয় নিশ্চিৎ করতে অনেক তাজা প্রান আর হাজারো মায়ের বুক খালি হয়েছে। আর এই তাজা প্রানগুলো কেড়ে নেওয়ার নির্দেশদাতা ও সরাসরি হত্যায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরকে খুজে খুজে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করছেন। যার ধারাবাহিকতায় আমির হত্যা মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত আগষ্ট মাসে উত্তরায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত আমির হোসেন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের দুই ও যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার রাজধানীর আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক পরিবেশ ও বনবিষয়ক সম্পাদক আহাম্মদ আলী (৫০), উত্তরা মডেল টাউনের পাঁচ নম্বর ইউনিট কমিটির সহসভাপতি সুভাষ চন্দ্র (৫৩) ও উত্তরা পশ্চিম থানার যুবলীগ নেতা শফিকুল ওরফে শরীফ ওরফে শাওন (৩৬)।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানার জসিম উদ্দিন রোডে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন আমির। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হন আমির। গুরুতর আহত আমিরকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আমিরের বাবা খুরশেদ আলম বাদী হয়ে ২ নভেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।