লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে পুলিশের অভিযানে উপজেলার হাজিরহাট বাজারে লিটন নামে এক ভাড়াটিয়ার রুম থেকে গাঁজা ও বেশ কিছু ব্যবহৃত কনডম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় চর ফলকন ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রেদোয়ান হোসেন রিপনকে জড়িয়ে একটি পক্ষ ফেসবুকে অপপ্রচার করছেন। এতে তার সামাজিক মানহানি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যর অভিযোগ, হাজিরহাট বাজারের তালপট্টি রোডে মো. তারেক নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন মার্কেটের একটি রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তার অফিস রুমের কাছাকাছি আরেকটি টিনসেড রুম ভাড়া নিয়ে গোপনে অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন লিটন নামের এক ব্যক্তি।
বিষয়টি নজরে আসলে মার্কেটের মালিক তারেক সহ লিটনকে এক নারীসহ হাতে-নাতে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে লিটন তাদের হাতে-পায়ে ধরে রুম ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার অঙ্গিকার করে। এরই মধ্যে প্রশাসনের সদস্যরা লিটনের ঘর তল্লাশি করে গাঁজা ও কনডম উদ্ধার করে।
কিন্তু এলাকার একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে ওইসব তার অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফেসবুকে প্রচার করে। এতে তার মারাত্বক সম্মানহানী হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোপন সংবাদ পেয়ে হাজিরহাট বাজারের তালপট্টি রোডস্থ তারেকের মালিকানাধিন মার্কেটের ভাড়াটিয়া লিটন নামের একব্যক্তির রুম তল্লাশি করে কিছু সংখ্যক ব্যবহৃত কনডম ও কিছু গাঁজা উদ্ধার করে প্রশাসনের লোকজন।
এলাকার একটি বিরোধি পক্ষ এ ঘটনার সাথে জড়িত লিটনের নাম প্রচার না করে সম্পন্ন উদ্দেশ্যমুলকভাবে ইউপি সদস্য রিপনের নাম জড়িয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার করে। প্রকৃতভাবে পুলিশ তল্লাশি করে যে রুম থেকে কনডম ও গাঁজা উদ্ধার করেছে ওই রুমটি ইউপি সদস্য রিপনের নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি জানায়, ইউপি সদস্য রিপন আ.লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিরোধী একটি পক্ষ তাকে লজ্জা দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করছে। প্রকৃতভাবে রিপন একজন ভালো এবং ধার্মিক মানুষ।
অপরদিকে অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে থানার ওসিকে ফোন করা হলে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।