মোঃ এনামুল হক, (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
পুরো বিশ্ব যখন করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে থমকে দাড়িয়েছে তখন ব্যবসা বানিজ্য কাজকর্ম ও হুমকির মুখে পড়েছে এ থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশ ও।বাংলাদেশ নিম্নও মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এদেশে দিন আনি দিন খাইয়ের সংখ্যা অনেক। করোনায় অনেক পরিবারকেই প্রতিনিয়িতই বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যখন তাদের ব্যাস্ত সময় পাড় করার কথা ছিলো কাজে তখন তারা বন্দি ঘড়ে।
এ ব্যপারে কথা হয় জামালপুরের তরুণ কৃষক এনামুল ও ইলিয়াস হোসাইন-এর সাথে,
করোনার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও বিরাট ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে বিশেষ করে আমরা যারা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা। যখন আমাদের বাইরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকার কথা ছিলো তখন আমরা লক ডাউনে ঘড়ে বন্দি হয়ে পড়ে রয়েছি।
এবং এই করোনার প্রাদূর্ভাবে আমরা কৃষকেরাও বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবুও এবার আমাদের ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কিছুটা আশার মুখ দেখতে শুরু করেছি আমরা গরীব কৃষকেরা।
কিন্তু আশা থাকলেও যদি আমাদের ধানের দাম না বৃদ্ধি করা হয় তবে আমাদের ধানের ভালো ফলোনেও কোন লাভ হবে না।
তাই আমরা গরীব কৃষকেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি এবার যেন আমরা আমাদের ধানের ন্যায্য মূল্য পাই এবং করোনায় আমাদের যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা থেকে যেন আমরা কিছুটা সেড়ে উঠতে পারি।
এ অবস্থায় ইরি ধানের ক্ষেতে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা
জামালপুর সদরের চাষীদের চোখ এখন ইরি ধান ক্ষেতে।
এবার ইরির আবাধ ভালো হয়েছে । পুরো জেলার মাঠে মাঠে প্রতিটি গাছেই ধানের শীষ দুলছে। যা মোহিত করছে কৃষকদের। ধান ক্ষেতের মাঝে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। ধান লাগানোর শুরু হতে শেষ পর্যন্ত নিজের সন্তানের মতই লালন পালন করতে থাকে ক্ষেতের।
আলাপকালে জালালপুর সদর উপজেলার ধানচাষি ইলিয়াস হুসাইন বলে, ‘দেশে তো করোনা আয়ছে। বাইত তনে (বাড়ি থেকে) বাইর হওয়া যায় না। (বের হওয়া যায় না ) এবার তিন পাখি জমিতে ইরি ধান আজিছি (লাগিয়েছি ) ।
ক্ষেতে ধান ভাল হইছে। ধান দেখে মনটা জুড়ে গেছে। বায়ীত (বাড়িতে) যা খাবার ছিলো তা প্রায় শেষ হচে। কিছু দিনের মধ্যে ধান কাটা নাগবে (লাগবে)। ঘরত ধান উঠলে আর কোন চিন্তা নাই।’
জামালপুর সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এই বছর ইরি মৌসুমে আমি প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ করেছি।
অন্য মৌসুমের চেয়ে এবার আমার ধানাজমিতে ধানের ভাল ফলনের সম্ভাবনা দেখছি। ধানের কোন রোগ বা পোকার আক্রমণ চোখে পড়ছে না। জমিতে যত ঘুরছি ততই ধান দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। আশা করছি অন্য বছরের চেয়ে এবছরে ধানের ভাল ফলন পাবো।’
আশ করা যাচ্ছে কোন দুর্যোগ না হলে এবারে ইরি চাষিরা ভাল ফলন ঘরে তুলতে পারবেন।’
এই আশা নিয়ে তারা বসে আছেন ৩ -৪ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে ধান কাটা আর কৃষকের মুখে ফুটবে ফসলের হাসি ।