মোঃ মারুফ হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ যশোরের বন্দর নগরী বেনাপোলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা উপেক্ষা করেই পূবালী,ডাচ্ বাংলা,সিটি ও ব্রাক ব্যাংক এর বেনাপোল শাখা বন্ধ রাখায় গ্রাহক ভোগান্তী চরমে।প্রতিদিন শত শত গ্রাহক ব্যাংকিং করার আশায় দূর-দূরান্ত হতে এসে ব্যাংক খোলা না পাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
এমন কি ব্যাংক নিযুক্ত সিকিউরিটি গার্ডরাও সঠিক বলতে পারছেনা কবে নাগাদ ব্যাংক গুলো খোলা হবে।বেনাপোল বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী রাশেদুজ্জামান ব্যাবসায়ী সুমন ও সুশীল মজুমদার শাখা গুলোর কর্মকর্তাদের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেন ঈদ উৎসবে পন্য বিক্রয়ের টাকা জমা করতে সিটি ও ব্রাক ব্যাংকে গেলে ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা নিয়ে ফিরে এসেছি।আম্ফান ঝড়ে শার্শায় বৈদেতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এলাকায় অন্ধকার থাকায় টাকা বাড়িতে থাকায় চোর-ডাকাতের শঙ্কায় রয়েছি।
সকাল ১০টার পর হতে অনেক গ্রাহক কে টাকা জমা দিতে না পেরে ফিরতে দেখেছি।এ ব্যাপারে ব্রাক ব্যাংকের ম্যানেজার ধীরাজ মোহন মুঠো ফোনে জানান,ব্রাক ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক বেনাপোল শাখা টি বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার(২৭মে) হতে অন্যান্য ব্যাংকের শাখা গুলো চালু রয়েছে এমন কি বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাস্থ্য বিধী মেনে গুরুত্ববহ এলাকায় ব্যাংক চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় গ্রাহক হয়রানী হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমরা আজ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন কোন নির্দেশনা পাইনী বলে তিনি আরো জানান।
বিষয়টি সরেজমিনে যাচায় করতে বেনাপোলে আবস্থিত সরকারী ও বেসরকারী মোট ১৮ টি ব্যাংক ঘুরে দেখা যায় ৪টি ব্যাংক শাখা বাদে সকলেই নিয়ম মেনে গত বুধবার বা অনেকেই করোনা প্রাদুর্ভাবের ভিতরও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যাংকিং সেবা দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে বেনাপোলে সবচেয়ে বেশী গ্রাহক সেবা দিয়েছেন সীমান্ত ব্যাংক।এ বিষয়ে ব্যাংকটির বেনাপোল মাখার ম্যানেজার মোঃ আশরাফুল আলম বলেন,বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ন শাখা ও বন্দর এলাকায় ব্যাংকিং(শাখা গুলোর)কার্যক্রম চালু রাখার ঘোসনা অনুযায়ী আমরা করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও ব্যাংকিং চালু রেখে গ্রাহক সন্তুষ্ঠি অর্জন করেছি।
কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ থাকায় গ্রাহক হয়রানী হচ্ছে প্রশ্নে তিনি বলেন হয়ত ঐ সমস্ত ব্যাংকগুলোর কাছে গ্রাহকের গুরুত্ব কম।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে গুরুত্বপূর্ন এলাকা বিবেচনায় পোর্ট ফলীয় সরকারী-বেসরকারী সকল ব্যাংকের শাখা চালু রাখলেও ডাচ বাংলা,ব্রাক,সিটি ও পূবালী ব্যাংকের শাখার কার্যক্রম বন্ধ রাখায় গ্রাহক হয়রানী সহ সেবামান ও গ্রাহক মূল্যায়ন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।