যশোরের শার্শা উপজেলার ১১নং নিজামপুর ইউনিয়ানের গোড়পাড়ায় সাংবাদিক মেহেদী হাসান মোল্লা ও তার পিতা আজিজুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে গোড়পাড়া বাজারে মেহেদী হাসান মোল্লার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নূর ডোকেরেটে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ওই সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা পিতা ও পুত্রকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছেন।তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকালে মেহেদী হাসান ও তার পিতা আজিজুর হক দোকানে বসে চা খেতে খেতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। ঠিক সে সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অর্তকিত হামলা করে ১৫ /১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর হয়ে কাজ করায় এবং চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ করায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুলের নির্দেশে এ হামলা চালিয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহীনি।
হামলার বিষয়ে আহত সাংবাদিক মেহেদী হাসান মোল্লা বলেন, আমি আর আমার পিতা দোকানে বসেছিলাম হঠাৎ মুকুল হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন, মিকাইল হোসেনের ছেলে ফাইমুর, আলিমুরের ছেলে রাব্বি, মুনাজাত হোসেনের ছেলে সোহেল, হাজি লাল মিয়ার ছেলে নুরুউদ্দিন সহ আরো ১০/১২ জন আমার দোকানে এসে আমাদের উপর এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। আমি মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারায় পরে নিজকে হাসপাতালের বেডে দেখি।
১১ নং নিজামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, নৌকার প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নির্বাচন থেকে সরে এসেছি। আর এই সরে আসার প্রতিদান হিসাবে আমার সাথে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমার সমর্থকেদের আজ মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আমার ও নৌকার পক্ষে কাজ করা অন্যান্য কর্মীরা। আমি প্রশাসনের প্রতি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বিষয়টি সত্যতা জানিয়ে বলেন, আমি শুনেছি গোড়পাড়া বাজারে মারামারি হয়েছে এবং সাংবাদিক হাসান মোল্ল্যা ও তার পিতা মার খেয়ে আহত হয়েছেন। তবে এঘটনা কারা করেছে আমি সঠিক জানিনা।
হামলার বিষয়ে আহত মেহেদী হাসান মোল্লার ছোট ভাই আশানুজ্জামান বাদি হয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি মামুন খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই হামলার বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অতি দ্রুত আমরা তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।