নিরবেই শেষ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। অবহেলায় আর বাবা মায়ের অযত্নেই দিশেহাড়া হয়ে রাস্তা রাস্তায় ঘুড়ে ময়লা আবর্জনা আর ভাঙারি সংগ্রহ করে যা পায় তা দিয়েই চলে নেশা। এ যেন দেখার কেউ নেই। এভাবেই উজ্জল নক্ষত্রগুলো ঝড়ে পড়ে প্রতিদিন। আমরা চাই আমাদের সন্তানের মতই তারাও মানুষ হোক আর সুন্দরভাবে বেচে থাকুক এই সমাজে।
ড্যান্ডি নেশার ছোবলে রাজধানীর ফুলের মতো ছোট্ট সোনামণিরা । এই নেশা বিক্রির উপর কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় খুব সহজেই বাজারে থেকে সংগ্রহ করতে পারছে শিশুরা, এবং আসক্ত হয়ে পড়ছে তারা,
মাদকের টাকা জোগাড় করতে জড়িয়ে পরছে নানাবিধ অপরাধে।
এই ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করার যেনো কেউ নেই। মাদকের করাল গ্রাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে পথ শিশুরা।
চারদিকে শুধু দিন বদলের গান, আমাদের চোখের আড়ালেই বদলে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেই দিকে যেনো নেই কারো ভ্রুক্ষেপ।
ঢাকার ৮৫ শতাংশ পথশিশু মাদকাসক্ত বলে জানায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম। যদিও এ বিষয়ে মাথাব্যথা নেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। নিরুপায় পুলিশও।
ময়লা প্যান্ট, আর উসকো খুসকো চুল, চোখে ঘুমঘুম ভাব রাজধানীর মিরপুরে ঘুরছে এসব পথ শিশু।
এ যেনো এক ভয়ানক নিঃশব্দের গান শুনিয়ে যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ, একটা সময় গিয়ে এরাও বড় হবে আর এদেরও বয়স বাড়তে থাকবে এখনই যদি প্রতিকার না নেয়া যায়,তাহলে আগামী হবে আমাদের জন্য এক ভয়ানক সন্ত্রাসী রাজ্য।
এ সব শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায় – ড্যান্ডি খেলে নাকি রাজার মতো মনে হয়।
তালিকাভুক্ত টলুইন মাদক দিয়ে ড্যান্ডি নামক আঠা তৈরি হয়, যা সাধারণত মেলে হার্ডওয়ারের দোকানে। এটি সংগ্রহের নেই কোনো বিধিনিষেধ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তররেও নেই কোনো মাথাব্যথা। সময়ের সাথে সাথে বেড়েই চলেছে এই মাদকের বিস্তার।