গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বাঙালী নদীর উপর নির্মিতি মেলান্দহ সেতুর দু-পাড়ে সংযোগ সড়ক অনেকটা ধসে গেছে। জরুরী ভাবে সংস্কার করা না হলে যে কোনো মূহুর্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হলেই সড়কে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়ে যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। গাইবান্ধার সাঘাটা-বোনারপাড়া, জুমারবাড়ী ও সোনাতলা সড়কে বাঙালি নদীর উপর সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অধিনে এই সেতু নির্মাণ করা হয়।
নদীর গতিপথ অনুযায়ী পাশাপাশি দু’টি সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে ১৪কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬০ মিটার অপরটি ৩১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৫০ মিটার প্রস্ত,৩৬.৬০ মিটার ওয়েল ও পাইল ফাউন্ডেশন পিসি গার্ডার, পাশাপাশি দু’টি সেতু। সেতু ও সড়ক জনপথ বিভাগের অর্থায়নে ঢাকার এক ঠিকাদার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্য করেন। নির্মিত সেতু দু’টি ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সেতুর দু’ পারে সড়ক পাকাকরণ কাজ নিম্নমানের হওয়ায় সংযোগ সড়ক গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী সাধারণ মানুষের । সেতু কর্তৃপক্ষ বারবার বালুমাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করলেও তা টেকসই ও সহনীও না হওয়ায় আবারো বৃষ্টির পানিতে ধসে যায়। কয়েকদিন আগেই সেতু ঘেসে পূর্বপাড়ে সড়কে দু-পাশে গভীর গর্ত বালুমাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।
এর আগেও পশ্চিম পাড়ে সংযোগ সড়ক কয়েক দফা ধসে গেলেও অনুরুপ ভাবে ভরাট করা হয়। গত দু-দিনে বৃষ্টির পানিতে আবারো ধসে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জনান, সেতুুর সংযোগ সড়ক বৃষ্টির পানিতে ধসে যাচ্ছে। দ্রুত স্থায়ীভাবে সংস্কার করা না হলে যেকোনো মূহুর্তে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
এ ব্যপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আক্তার জানান, সেতুুর সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়া অংশটি দ্রুতই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।