ঝিনাইদহ চার আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে ঢাকায় বসে ২/৩ মাস আগেই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ঢাকায় না পেরে আনারকে কৌশলে নেওয়া হয় কলকাতায়। ১৩ই মে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয় এমপি আনারকে।
মরদেহের টুকরো নিয়ে যাওয়ার সময় আটকালে কেউ যাতে বুঝতে না পারে, এজন্য শরীর টুকরো টুকরো করে হাড় ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। তবে, আনারের শরীর টুকরো টুকরো করে খণ্ডিত অংশ কোথায় ফেলা হয়েছে এর কোন সন্ধান এখনো মেলেনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কলকাতার নিউটাউনে হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া যেতে পারে। আর আমরা ভারতের পুলিশের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানায়। এদিকে কলকাতার সিআইডির হাতে আটক হয়েছে বাংলাদেশি যুবক সিয়াম। ১৩ই মে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিন তিনি নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় জুবের নামে এক ক্যাব চালককেও আটক করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর হত্যার পর মরদেহের অংশ সরিয়ে নিতে ব্যবহার করা সাদা রঙের মারুতি গাড়িটি বৃহস্পতিবার ভোরে জব্দ করা হয়। ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে সেই গাড়ি ভাড়া করে আত্তীয়রা।