মোঃ আবু নাঈম, মালায়শিয়া প্রতিনিধিঃ আজ মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে স্মরণীয় দিনটি সারা বিশ্বের সঙ্গে মালয়শিয়াতেও পালিত হয়ে আসছে। শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কর্মসময়ের দাবি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, আইএলও সনদেও এটা অনুমোদিত।
শ্রমিক শ্রেণির লাগাতার সংগ্রামের অন্যতম ট্রিগার পয়েন্ট ১ মে দিনটিকেই শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ও বিজয়ের প্রতীকী দিবস হিসেবে ধার্য করা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে এ দিনটি ১৮৯০ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। ২০২০ সালে যখন মে দিবস পালিত হচ্ছে, তখন মালয়শিয়া সহ বিশ্বব্যাপী শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা ভালো নয়।
করোনায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। আর এটার বড় ধাক্কা লেগেছে প্রবাসী ওবৈদশীক অর্থনীতিতে।মালয়শিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার জন্য মালিকপক্ষ তাগিদ দেয়া হচ্ছে।সেই সাথে সরকারের পক্ষথেকে বিশাল আকারের বাজেট প্রনয়ন করা হয়েছে।
তাছাড়াও বিদেশী শ্রমিকদের নেভীতে 25%ছাড়ের ব্যবস্হা ছাড়াও নানান উদ্যোগ নিয়েছে মালয়শিয়া সরকার।যাতে করে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট দূর করা যায়।আজ বিকেলে মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিকদের উদ্দেশেভাষন দিবেন মালয়শিয়ার প্রধান মন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দীন ইয়াসিন।
বিশ্বের বর্তমান দুর্যোগময় করোনা পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের সামাজিক অসন্তোষ দেখতে চাই না শ্রমিকগণ । অনেক কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীন ও ন্যায্য মজুরিবঞ্চিত।প্রবাসে অধিকার বঞ্চিত রয়ে গেছেন অনেক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকরা। শিল্পক্ষেত্রে সুস্থ অবস্থা তৈরির জন্য ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ও উন্নত জীবনমানের নিশ্চয়তা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই।
আজকের দিনে আমাদের প্রত্যাশা- শিল্প মালিক, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই অঙ্গীকারাবদ্ধ হবেন যে, সুস্থ শিল্প বিকাশের স্বার্থে শ্রমিকের মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। অন্যতম প্রধান প্রবাসী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
দেশের অর্থনীতির আরেকটি বড় নিয়ামক বিদেশে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স। প্রবাসে এবং স্বদেশে ওই শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।