যোগদানের পর থেকেই নান্দাইল উপজেলাকে একটি উন্নত ও জনবান্ধব মডেল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার। গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫-এ নান্দাইলে যোগদানের পর থেকে তিনি তাঁর সততা, কর্মনিষ্ঠা এবং মানবিক গুণাবলি দিয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন।

ইউএনও সারমিনা সাত্তার দায়িত্ব গ্রহণের পর নান্দাইলের সার্বিক উন্নয়নে মনোযোগ দেন। উপজেলার রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নেও তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রেও তিনি এক নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা কোনো মানুষকেই তিনি ফিরিয়ে দেন না। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের সমস্যা তিনি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করেন। তাঁর এই સરળ ও জনবান্ধব আচরণের কারণে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ সহজেই তাঁর কাছে যেতে পারেন এবং কাঙ্ক্ষিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

শুধু উন্নয়নমূলক বা প্রশাসনিক কাজেই নয়, মানবিক সহায়তা প্রদানেও ইউএনও সারমিনা সাত্তার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি উপজেলার অসহায়, গরিব ও দুঃস্থ মানুষদের কাছে এক আস্থার নাম। বিভিন্ন সময়ে তিনি ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল, ঘরহীনদের জন্য ঢেউটিন এবং অসহায় পরিবারকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করে চলেছেন। তাঁর এই মহৎ উদ্যোগের ফলে অনেক দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে এবং তিনি সকলের কাছে ‘জনবান্ধব ইউএনও’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

নান্দাইল উপজেলার সাধারণ মানুষের মতে, একজন আদর্শ সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে যে সকল গুণাবলি থাকা প্রয়োজন, তার সবই ইউএনও সারমিনা সাত্তারের মধ্যে বিদ্যমান। তাঁর সততা, কর্মদক্ষতা এবং মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, “আমি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে ভালোবাসি এবং মানুষের সেবা করাই আমার মূল লক্ষ্য। আমি সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ চাই যেন আগামী দিনগুলোতেও একইভাবে মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে পারি।”

সারমিনা সাত্তারের মতো একজন জনবান্ধব ও মানবিক কর্মকর্তা পেয়ে নান্দাইলের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত এবং তাঁর নেতৃত্বে নান্দাইল উপজেলা উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।